আলিয়া-রণবীরের বিয়ের সময় কী হাল হয়েছিল প্রতিবেশিদের? ফাঁস করলেন নিরাপত্তারক্ষী
রণবীর কাপুর ও আলিয়া ভাটের বিয়ে বলিউডের অন্যতম আলোচিত বিষয়। তবে এই বিয়ে নিয়ে বেশ সমস্যায় পড়েছিলেন তাঁদের প্রতিবেশীরা। কড়া নিরাপত্তার কারণে সেদিন বাড়ি থেকে বের হওয়া ছিল প্রায় অসম্ভব। এমনকি বারান্দায় বের হওয়াও ছিল নিষেধ।
রণবীর কাপুর ও আলিয়া ভাটের বিয়ে বলিউডের অন্যতম আলোচিত বিষয়। তবে এই বিয়ে নিয়ে বেশ সমস্যায় পড়েছিলেন তাঁদের প্রতিবেশীরা। কড়া নিরাপত্তার কারণে সেদিন বাড়ি থেকে বের হওয়া ছিল প্রায় অসম্ভব। এমনকি বারান্দায় বের হওয়াও ছিল নিষেধ।
বিয়ের দিন বাড়ির বাইরে ছিল সংবাদমাধ্যমের উপচে পড়া ভিড়, আর ভক্তদের চিৎকারে গোটা পরিবেশ সরগরম। এই পরিস্থিতিতে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল অবশ্যম্ভাবী। সম্প্রতি, রণবীর-আলিয়ার বিয়ের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ইউসুফ ইব্রাহিম এক সাক্ষাৎকারে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান। তিনি বলেন, “মোট ৬০ জন নিরাপত্তাকর্মী সেই দিন দায়িত্বে ছিল। ভিড় এতটাই বেশি ছিল যে আমাদের কাজ সামলাতে হিমশিম খেতে হয়েছিল। প্রতিবেশীরাও যথেষ্ট বিরক্ত হয়েছিলেন। তবে সবাই খুব সহযোগিতা করেছিলেন, যা খুব ইতিবাচক ছিল।”
২০২২ সালে বিয়ে করেন রণবীর এবং আলিয়া। বিয়ের আড়াই মাসের মধ্যেই আলিয়া তাঁর অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর দেন। এরপর ২০২২ সালের ৬ নভেম্বর কন্যা সন্তানের জন্ম দেন নায়িকা। মেয়ের নাম রাখেন রাহা। মেয়ের মুখ প্রকাশের বিষয়ে আলিয়া জানিয়েছিলেন, সঠিক সময়েই তাঁরা এই কাজ করবেন। আলিয়া তাঁর কথা রেখেছেন, ২০২৩ সালের বড়দিনে রাহাকে প্রকাশ্যে আনেন তাঁরা।
রাহার চেহারা নিয়ে নানা মতামত শোনা যাচ্ছে। কেউ বলছেন, তিনি বাবার মতো দেখতে, আবার কেউ মনে করেন, তাঁর চেহারায় মায়ের ছাপ বেশি। কেউ কেউ আবার রাহার চেহারায় দাদু ঋষি কাপুর ও প্রপিতামহ রাজ কাপুরের ছায়া খুঁজে পেয়েছেন। বিশেষ করে রাহার নীল চোখ রাজ কাপুরের চোখের কথা মনে করিয়ে দেয়। যে যাই বলুক, রাহা এখন কাপুর এবং ভাট পরিবারের নয়নের মণি। শুধু পরিবার নয়, প্রতিবেশীরাও তাঁর দুষ্টুমি দেখে আনন্দে মুগ্ধ। এমনকি রাহার জনপ্রিয়তা এখন তাঁর বাবা-মায়ের থেকেও বেশি!