
তাঁরা নাকি আলাদা হয়ে যাচ্ছেন। এমন একটি গুঞ্জন এক বছরেরও বেশি সময় ধরে রটেছে বলি অন্দরে। কিন্তু তা নিয়ে একবারের জন্যেও মুখ খোলেননি ঐশ্বর্য রাই বচ্চন এবং অভিষেক বচ্চন। এই গুঞ্জনের পরপরই তাঁদের নানা অনুষ্ঠান ও টকশোয়ের ভিডিয়ো ক্লিপিংস ভাইরাল হয়েছে নেটমহলে। কখনও সম্পর্কের খুনসুটি, কখনও আবার প্রকাশ্যে বিরক্তি, তাঁদের নিয়ে নানা ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। যদিও সম্পর্ক নিয়ে খুব একটা মুখ খুলতে রাজি নন তাঁরা। তবে তাঁদের ইঙ্গিতে স্পষ্টটা বুঝিয়ে দিতে সময় লাগে না।
যদিও সম্পর্ক নিয়ে অতীতে মুখ খুলতে খুব একটা ভাবতেন না ঐশ্বর্য। সাল ২০০৫, তখন অভিষেক বচ্চনের সঙ্গে সম্পর্কে রয়েছেন ঐশ্বর্য, যদিও এই সম্পর্কে থাকা কালিন তাঁদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা যতই গভীর হোক না কেন, প্রাথমিকভাবে কেউ টের পায়নি এই জুটি ডেট করছে। তাই বলে বিয়ের আগে যৌনতা? এক সাক্ষাৎকারে ঐশ্বর্য এই প্রসঙ্গে মুখ খুলেছিলেন। এক বিদেশের সংবাদ মাধ্যম তাঁর কাছে প্রশ্ন রাখে, বিয়ের আগে যৌনতা নিয়ে ঐশ্বর্যের কী দৃষ্টিভঙ্গি?
উত্তরে ঐশ্বর্য জানিয়েছিলেন, মোটেও এটা সঠিক নয়। ভারতীয় সংস্কৃতিতে এই চলটা নেই বলেও সেদিন স্পষ্ট জানিয়েছিলেন নায়িকা। ফোঁস করে উঠেছিলেন নায়িকা ভারতীয় সংস্কৃতি নিয়েও। বলেছিলেন “এটা খুব ব্যক্তিগত বিষয়। পথেঘাটে রাস্তার কোণে এই জিনিস চোখে পড়ার কথা নয়। তাই এই বিষয়টা ভারতের সংস্কৃতি নয়।” যদিও এই প্রসঙ্গে তিনি ব্যক্তিজীবনকে আড়ালেই রেখেছিলেন।
কখনও আবার সম্পর্কের বিবাদ নিয়ে মুখ খুলেছিলেন এই জুটি। কপিল শর্মার জনপ্রিয় টক শো ‘দ্য কপিল শর্মা শো’-এ বহুবার গিয়েছেন ঐশ্বর্য। একবার কপিল তাঁকে সরাসরি জিজ্ঞেস করেছিলেন, অভিষেকের সঙ্গে ঝগড়া হলে পরিস্থিতি কোন জায়গায় যায়? বিরাট সোফায় বসা সিধুর তৎক্ষণাৎ সংযোজন, “কী আবার হয়, অভিষেকই সরি বলেন!” এই উত্তর শুনে চুপ থাকতে পারেননি রাই সুন্দরী। বলেই বসেন, “আমিই সরি বলি প্রত্যেকবার এবং ঝামেলা মিটিয়ে নিই।” ফলে মিটমাট যে এবারও হয়ে গিয়েছে, তা ইঙ্গিতে বোঝাই যায়।