শত চেষ্টার পর ডাক্তার জানিয়ে দেন ‘অমিতাভ মৃত’, শোনা মাত্রই জয়া…
Amitabh Shocking News: অমিতাভ বচ্চন। বলিউডের অন্যতম পিলার। অভিভাবকের মতো সকলের মাথার ওপর রয়েছেন তিনি। বলিউডের শাহেনশাহ বলে কথা। টানা ৫০ বছরের বেশি বলিউডে সক্রিয়ভাবে অভিনয় করে চলেছেন তিনি। কোথাও কোনও খামতি নেই।

হাসপাতালে ভর্তি অমিতাভ বচ্চন। চলছে যমে মানুষে টানাটানি। পরিবারের সকলেই ভগবানে আস্থা রেখে প্রার্থনা করে চলেছেন। হঠাৎই মেলে দুঃসংবাদ। অমিতাভ বচ্চন ‘ক্লিনিক্যালি’ মৃত। স্পষ্ট করে পরিবারের সদস্যদের জানিয়ে দিয়েছিলেন ডাক্তার। না, এই ঘটনা বিন্দুমাত্র মিথ্য কিংবা জল্পনা নয়। ১৯৮২ সালে এমনই দিন কাটিয়েছে বচ্চন পরিবার। যেখানে সকলের চোখের জল প্রায় শুকিয়ে গিয়েছিল ঈশ্বরকে ডাকতে ডাকতে। সেই ভয়াবহ দিন আজও দুঃস্বপ্নের মতোই বচ্চন ভক্তদের কাছে।
অমিতাভ বচ্চন। বলিউডের অন্যতম পিলার। অভিভাবকের মতো সকলের মাথার ওপর রয়েছেন তিনি। বলিউডের শাহেনশাহ বলে কথা। টানা ৫০ বছরের বেশি বলিউডে সক্রিয়ভাবে অভিনয় করে চলেছেন তিনি। কোথাও কোনও খামতি নেই। দর্শকদের মনোরঞ্জন করে বারবার প্রশংসিত হওয়া সেই বিগ বি-কে নিয়ে প্রতিটা মুহূর্তে দর্শকদের মনে কৌতুহলের পারদ থাকে তুঙ্গে। যদিও কোনও বাধাই তাঁকে আটকে রাখতে পারে না শুটিং সেটে আসার ইচ্ছে থেকে। একাধিকবার অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তিনি। একাধিকবার যমে-মানুষে টানাটানিতে জিতে গিয়েছেন তিনি। শত শত মানুষের ভালবাসা বারবার ফিরিয়ে এনেছে তাঁকে।
১৯৮২ সালে এমনই এক পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়েছিল বচ্চন পরিবারকে। কুলি ছবির সেটে গুরুতর চোট পেয়েছিলেন অমিতাভ বচ্চন। এক অ্যাকশন দৃশ্যে আটমকাই বুকে আঘাত পান তিনি। চোটপান তলপেটেও। তড়িঘড়ি তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। চলপেট থেকে গলগল করে রক্ত বেরতে থাকে। ডাক্তার তাঁকে দেখা মাত্রই মৃত বলে দিয়েছিলেন। শোনা মাত্রই কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন জয়া বচ্চন। তাও শেষ চেষ্টা করার জন্য তলপেটে সেই মুহূপর্তে তাঁকে একটা ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়। মুহূর্তে শ্বাস নিতে দেখা যায় তাঁকে। ভক্তরা রক্ত দিয়ে দিনের পর দিন অমিতাভকে চিঠি লিখতেন। এরপর যখন তিনি ফিরেছিলেন, সকলেই অমিতাভের পুনঃজন্ম বলেই সেই দিনটিকে সেলিব্রেট করেছিলেন।





