
বরাবরই বেশ মজার মানুষ ছিলেন গায়ক তথা অভিনেতা কিশোর কুমার। তাঁর জীবনে যে কত রকমের গল্প জড়িয়ে রয়েছে, তা বলাই বাহুল্য। কখনও শুটিং সেটে, কখনও আবার সকলের মাঝেই তিনি হাসি ঠাট্টার আসর জুড়ে দিতেন। পরিবারের সকলে সেই তালিকা থেকে বাদ পড়তেন না। কিশোর কুমার বরাবরই গানের জগতে জনপ্রিয়। যে কোনও সুরের গানেই তিনি সেরা, তাঁর গান মানেই ছবির জগতে তা বিশেষ প্রভাব ফেলবে।
ফলে তাঁকে নিয়ে চর্চা ছিল সর্বত্র। তবে এই সেলেবের আরও একটা বিশেষত্ব ছিল, তিনি খুব ভাল অনুমান করতে পারতেন, অর্থাৎ তাঁর ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় খুব সজাগ থাকত। তিনি এমন অনেক কিছু বলতে পারতেন, বুঝতে পারতেন, যা সাধারণ মানুষ চট করে বুঝে উঠতে পারেন না। তার মধ্যে অন্যতম ছিল তাঁর মৃত্যুর দিনটা।
বাবার স্মৃতিতে ভেসে গায়ক অমিতা কুমার জানিয়েছিলেন, হঠাৎই কিশোর কুমারের মনে হয়, কিছুক্ষণের মধ্যে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হবেন। নিজে মুখে তা বলেওছিলেন। কিন্তু তাঁর স্ত্রী লীলাদেবী ভেবেছিলেন তিনি আর পাঁচটা দিনের মতোই মজা করছেন। এর কিছুক্ষণ পরই সব শেষ। হাসি মজা করে এমন কত কথাই তিনি বলে থাকতেন। তাই বলে মৃত্যু! সুস্থ মানুষ বসে রয়েছেন, আর কিছুক্ষণেই আর নেই! সত্যি বিশ্বাস করা দায়। ফলে পরিবারের কেউ বুঝতে পারেননি, হঠাৎ করে কিছুক্ষণের মধ্যে তিনি এভাবে সকলকে ছেড়ে চলে যাবেন। যার ফলে আজও সেদিনটা অবাক করে অমিত কুমারকে।