অশ্লীল গান, মাধুরীর আইটেম ডান্স যখন রাতারাতি বিতর্কের কেন্দ্রে
Madhuri Dixit: এই গানকে রাতারাতি অশ্লীল গানের তকমা দেওয়া হয়। যা তাঁর কাছে ভয়ানক হয়ে ওঠে, তিনি মেনে নিতে পারিনি। তাঁরা এই গানকে ফোক গানের আদলে তুলে ধরতে চেয়েছিলেন। তবে ছবি যখন ছবি মুক্তি পেয়েছিল, তখন সকলেই প্রতিবাদ করে উঠল।
‘চোলি কে পিছে কেয়া হ্যায়’ গান মুক্তি পেয়েছিল ৩০ বছর আগেছ ‘খলনায়ক’ ছবির এই গান টানা ৩০ বছর ধরেই চর্চায়। তবে এই গানই একটা সময় রাতের ঘুম উড়িয়ে দিয়েছিল পরিচালক সুভাষ ঘাইয়ের। PTI- কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সুভাষ ঘাই জানিয়েছিলেন, খালনায়ক ছবি প্রসঙ্গে আমার যে স্মৃতি সবচেয়ে বেশি তরতাজা তা হল ‘চোলিকে পিছে কেয়া হ্যায়’ গান। এই গানকে রাতারাতি অশ্লীল গানের তকমা দেওয়া হয়। যা তাঁর কাছে ভয়ানক হয়ে ওঠে, তিনি মেনে নিতে পারিনি। তাঁরা এই গানকে ফোক গানের আদলে তুলে ধরতে চেয়েছিলেন। তবে ছবি যখন ছবি মুক্তি পেয়েছিল, তখন সকলেই প্রতিবাদ করে উঠল। এর বিরুদ্ধে সরব হল। তাঁর কথায়, তাঁর মনে পড়ে তখন এক প্রথম সারির সংবাদ মাধ্যম পজেটিভ শিরোনামে খবরটি লেখে, তখন খানিক স্বস্তি ফেরে পরিচালকের মনে। তিনি ভাবেন, ‘মানুষ হয়তো এবার বুঝতে পারবে’।
মাধুরী দীক্ষিত ও সঞ্জয় দত্তের এই ছবি দর্শক মনে ঝড় তুলেছিল। যার গীতিকার ছিলেন আনন্দ বক্সি আর সুরকার ছিলেন লক্ষ্মীকান্ত পেয়ারেলাল। গানটি গেয়েছিলেন অলকা ইয়াগ্নি। সম্প্রতিতে মুক্তি পাওয়া ‘রকি অউর রানি কি প্রেম কহানি’ ছবিতেও এই গানের উল্লেখ পাওয়া যায়। যেখানে চুর্ণী গঙ্গোপাধ্যায় সকল সাবেকি ধ্যান ধারণা ভাঙতে পর্দায় রকিকে প্রশ্ন করে বসেন, ‘চোলি কে পিছে কেয়া হ্যায়? এই গান গাইতে কারও অসুবিধে নেই, উত্তর দিতে সমস্যা? চোলির পিছে ব্রা থাকে।’ যে প্রসঙ্গ রীতিমত মতো ঝড় তোলে নেটদুনিয়ায়। সেন্সর বোর্ড প্রাথমিকভাবে এই দৃশ্যকে ছবি থেকে বাদ দিতে চাইলেও, পরবর্তীতে ছবি মুক্তি পাওয়ার পর দেখা যায় ছবিতে এই অংশটি রয়েছে। ৩০ বছর পেরিয়েও এই খলনায়ক ছবির এই গান আজও ভেঙে বোঝাতে হচ্ছে, যদিও গানের সৃষ্টিকর্তারা, এই গানকে আদপে এই আঙ্গিকে উপস্থাপনা করতেই চাননি বলে দাবি করেন সুভাষ ঘাই।