অভিনেতা রাজেশ শর্মা, বর্তমানে বলিউডে একচেটিয়া কাজ করছেন। প্রতিটা ক্ষেত্রেই তাঁর উপস্থিতি সকলের নজর কাড়ে। ছোট হোক বা বড়, তাঁর চরিত্রের বিশেষত্ব পর্দায় এক ভিন্নস্বাদের সমীকরণ তৈরি করে। তবে শুরুটা কি এতটাই সহজ ছিল অভিনেতার? না, আর পাঁচটা মধ্যবিত্ত পরিবারের মতই তিনি শুরু করেছিলেন পথচলা। চেষ্টা করছিলেন চাকরির। তবে অভিনয়ের নেশা তাঁকে তাড়িয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছিল। একটা সময় তিনি স্থির করেছিলেন শো-টা তাঁকে করতেই হবে। যার ফলে সাধারণ ঘড়ি ধরে করা চাকরিতে সমস্যা তৈরি হয়, এবং তিনি তা ছেড়ে দিয়ে স্থির করেছিলেন ট্যাক্সি চালাবেন। এক্ষেত্রে শোয়ে যেতে তাঁর কোনও সমস্যা হয় না। জি বাংলার টক শো ‘অপুর সংসার’-এ এসে শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়কে জানালেন নিজের কঠিন লড়াইয়ের কথা।
যখন প্রথম তিনি শুনেছিলেন তাঁকে অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের বর হতে হবে, তিনি চমকে উঠেছিলেন। কীভাবে এসেছিল এই প্রস্তাব? রাজেশ শর্মা জানান, দিন দিন বাড়তে থাকে তাঁর শোয়ের সংখ্যা। আর সেই সকল শো দেখতে আসতেন অপর্না সেন। একদিন রাজেশ শর্মাকে ডেকে অপর্ণা সেন জানান, তিনি রাজেশকে একদিন বাড়িতে ডাকতে চান। কথা মতো অপর্ণা সেনের বাড়িতে হাজির হয়েছিলেন অভিনেতা। না, শুরুতেই কোনও কিছুই বলা হয়নি তাঁকে। কেবল অপর্ণা সেন একটি চিত্রনাট্য পড়ে শোনাতে থাকেন রাজেশকে।
ছবির নাম পারমিতার একদিন। সবটা শোনার সময় বুঝতে পারছিলেন রাজেশ, যে তিনি একটি ছোট পাঠ পেতে চলেছেন। কিন্তু না, তেমনটা হয়নি। রাজেশ শর্মাকে অপর্ণা সেন বলে বসেন, ছোট নয়, ঋতুপর্ণার বরের চরিত্রে পাঠ করতে হবে তাঁকে। শুনে চমকে গিয়েছিলেন রাজেশ শর্মা। বলেছিলেন, ”আপনি অন্য কাউকে নিন, কোনও হিরোকে নিন, প্রসেনজিৎ বা অন্যকেউ। আমায় কেন? দেখেছেন আমায়?” যদিও অপর্ণা সেন ছিলেন নিজের সিদ্ধান্তে স্থির, আর এভাবেই ছবির সফর শুরু হয় রাজেশ শর্মার।