
সুচিত্রা সেন, টলিপাড়ার তিনি মহানায়িকা। অপরূপ সুন্দরী, যাঁর লুক প্রতিটা মুহূর্তে দর্শকদের নজর কাড়ত। ঘুম কাড়ত শত-শত পুরুষের। সেই মহানায়িকাই একটা সময় সবকিছু থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন।সরে গিয়েছিলেন লাইট ক্যামেরা অ্যাকশন থেকে। অভিনয় জীবনে বহু ঝড় তিনি সামলেছিলেন। তাঁর বৈবাহিক জীবন সুখের ছিল না, শান্তি ছিল না ব্যক্তিজীবনে। তাই একটা সময় তিনি চাননি তাঁর মেয়ে মুনমুন সেন অভিনয় জগতে পা রাখুক। কারণ সুচিত্রা সেন জানতেন অভিনয় জগতে লাইম লাইটের পাশাপাশি ব্যক্তি জীবনে কতটা অন্ধকার দেখেছেন।
পর্দায় তখন রমার রমরমা চাহিদা। উত্তম-সুচিত্রা মানেই টানটান উত্তেজনা। সেই উত্তমের প্রয়াণে ভেঙে পড়েছিলেন মহানায়িকা। সকলেই সেদিন ভিড় করে দেখতে এসেছিলেন মহানায়ককে। শেষে দেখা। হাতে ফুল নিয়ে ম্লান মুখে সেদিন গাড়ি থেকে নামতে দেখা গিয়েছিল সুচিত্রা সেনকে। এরপর কারও সঙ্গে কোনও কথা বলেননি।
এক সাংবাদিক বহুবার অনুরোধ করায় তাঁর সামনে মুখ খুলেছিলেন সুচিত্রা। জানিয়ে ছিলেন তাঁর আল ভাল লাগছে না। মন তাঁর বড়ই ভারাক্রান্ত। তিনি ভাবতে পারছেন না উত্তমবাবু আর নেই। বলেছিলেন- “এই তো সেদিন স্টারদের ক্রিকেট খেলার সময় দেখা হয়েছিল। আমায় দেখে হেসেছিল। সেদিন ওর চোখ দুটো দেখেছিলাম। ভীষণ ক্লান্ত লাগছিল। জানতে চেয়েছিলাম কেমন আছো, উত্তরে বলেছিলেন– ভাল।” সেই শেষ কথা, তারপর থেমে ছিল বাংলার কালজয়ী জুটি উত্তম সুচিত্রার পর্দায় পথচলা। আজও যে ছবি বাংলার সিনেপাড়ার সম্পদ।