কিশোরের জন্যে শেষ হয়ে যায় এই গায়কের কেরিয়ার?

১৯৬৯ সালে কিশোর কুমার ছিলেন জনপ্রিয়তার তুঙ্গে। একের পর এক হিট গান তাঁর তালিকায়। একটা সময় জনপ্রিয়তার নিরিখে তিনি ছাপিয়ে যান মহম্মদ রফিকেও।

কিশোরের জন্যে শেষ হয়ে যায় এই গায়কের কেরিয়ার?

| Edited By: জয়িতা চন্দ্র

Aug 17, 2025 | 6:46 PM

সঙ্গীতের স্বর্ণযুগ বলতে যে যে গায়কদের কথা সবার আগে মনে আসে, সেই তালিকায় থাকা অন্যতম নাম হল মহম্মদ রফি, কিশোর কুমার। যাঁদের গানই হয়ে উঠত একটা সময় ছবির মূল আকর্ষণ। ছবি মুক্তির আগেই গান হয়ে উঠত ভাইরাল। ঝড়ের গতিতে তা ছড়িয়ে পড়ত ভক্তমহলে। ১৯৬৯ সালে কিশোর কুমার ছিলেন জনপ্রিয়তার তুঙ্গে। একের পর এক হিট গান তাঁর তালিকায়। একটা সময় জনপ্রিয়তার নিরিখে তিনি ছাপিয়ে যান মহম্মদ রফিকেও। বিশেষ করে আরাধনা মুক্তির পর কিশোর কুমার সকলের প্রিয় গায়কের তালিকায় প্রথম স্থান অধিকার করে নিয়েছিলেন।

সেই সময় প্রযোজকেরা একের পর এক গানের অনুরোধ নিয়ে পৌঁছে যাচ্ছিলেন কিশোর কুমারের দরজায়। গুরুত্ব হারাতে শুরু করেছিলেন মহম্মদ রফি। গায়ক মহেন্দ্র কাপুরের পুত্র রোহন কাপুর ২০১৭-তে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সামনে এনেছিলেন একাধিক অজানা কাহিনি। যেখানে তাঁর মনে আছে মহম্মদ রফি একটা সময় মহেন্দ্র কাপুরকে বলেছিলেন-, ‘আমার খুব খারাপ লাগছে, আমি দেখা করতে চাই।’ উত্তরে মহেন্দ্র কাপুর জানিয়ে ছিলেন তাঁকে বাড়ি আসতে।

সেখানেই রোহন কাপুর শুনেছিলেন, মহম্মদ রফি প্রশ্ন করছেন তাঁর বাবাকে, ‘আমি কী খারাপ গায়ক হয়ে গিয়েছি! যাঁরা একটা সময় পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করতেন, আজ তাঁরা মুখ ফেরাচ্ছেন! এমন কি চিনতেও পারছেন না’। উত্তরে মহেন্দ্র কাপুর জানিয়েছিলেন, ‘এটা যদি তাঁরা তোমার সঙ্গে করতে পারে, তবে যে কোনও স্টারের সঙ্গেই করতে পারে। এটা নতুন কোনও বিষয় নয়। এই ধরনের মানুষেরা এভাবেই ব্যবহার করে থাকেন’। যদিও এই প্রসঙ্গে অমিত কুমারকে প্রশ্ন করলে তিনি জানান,- ‘রফি সাহাব আমার বাবারও সিনিয়র, দুজনের প্রতিই দুজনের ভীষণ শ্রদ্ধা ছিল।’