‘পরিবারকে ব্যবহার করে কোথাও পৌঁছাইনি’, শ্রীনন্দার খোঁচা মমতাকে?

সম্প্রতি শ্রীনন্দা শঙ্করের একটা পোস্ট ঘিরে সোশ্যাল মিডিয়া তোলপাড়। শ্রীনন্দা লিখেছেন, ''বংশগৌরব আর প্রতিভা একজন মানুষকে চেনায় না — তার চিন্তা আর বিশ্বাসই আসল। এখন আর সেই দিন নেই যখন মানুষ একজন অভিনেতাকে তার চরিত্র ভেবে নিত। তারকাদের রাগ-অভিমান এখন পুরোনো হয়ে গেছে। আজকের দিনে মানুষ হিসেবে আপনি কেমন, সেটাই আসল। কিন্তু সমস্যা হলো, অনেক তারকাই সময়ের সঙ্গে চলতে শেখেনি, তাই তারা বিরক্ত আর তিক্ত হয়ে পড়ে।''

পরিবারকে ব্যবহার করে কোথাও পৌঁছাইনি, শ্রীনন্দার খোঁচা মমতাকে?

| Edited By: Bhaswati Ghosh

Jul 28, 2025 | 11:03 AM

সম্প্রতি শ্রীনন্দা শঙ্করের একটা পোস্ট ঘিরে সোশ্যাল মিডিয়া তোলপাড়। শ্রীনন্দা লিখেছেন, ”বংশগৌরব আর প্রতিভা একজন মানুষকে চেনায় না — তার চিন্তা আর বিশ্বাসই আসল। এখন আর সেই দিন নেই যখন মানুষ একজন অভিনেতাকে তার চরিত্র ভেবে নিত। তারকাদের রাগ-অভিমান এখন পুরোনো হয়ে গেছে। আজকের দিনে মানুষ হিসেবে আপনি কেমন, সেটাই আসল। কিন্তু সমস্যা হলো, অনেক তারকাই সময়ের সঙ্গে চলতে শেখেনি, তাই তারা বিরক্ত আর তিক্ত হয়ে পড়ে।” এই পোস্ট করার পর সকলেই অনুমান করেছিল, তিনি মমতা শঙ্করের নাম না করে কথাগুলো বলেছেন, যা পিসিকে লক্ষ করে বলা।

এরপর শ্রীনন্দা লেখেন, ”আমি কখনও আমার পরিবারকে ব্যবহার করে কোথাও পৌঁছাইনি। আমার পথ আমি নিজে তৈরি করেছি—আমার কাজ, আমার কণ্ঠস্বর আর নিজেকে সত্যিকারেরভাবে প্রকাশ করে। পাশাপাশি, আমি আমার দায়িত্বও পালন করি—মায়ের সঙ্গে মিলে আমাদের ডান্স স্কুল চালাই। যারা সবকিছুতেই মহিলাদের দোষ দেন বা ধর্ষকের মানসিকতার প্রতি সহানুভূতি দেখান, তাদের সম্মান আমার দরকার নেই। আমার এই পোস্ট শুধুমাত্র আমার ফলোয়ারদের জন্য—কোনও অশালীন ভাষা ব্যবহার না করেই লিখেছি, যেমনটা অনেকেই আমায় উদ্দেশ্য করে করেছে। বাংলা মিডিয়ায় যারা ধর্ষক মনোভাবকে সমর্থন করে, তারা আমাকে নিয়ে যা খুশি বলুক—তাতে আমার জীবনে কিছু এসে যায় না। বলতেই থাকুন। শুধু প্রার্থনা করি, আপনার কন্যাসন্তান যেন না থাকে। আমি আমার বাবা ও ঠাকুরদাকে গভীরভাবে সম্মান করি। তাঁরা আজ আর আমাদের মাঝে নেই, কিন্তু এটা তাঁদের মনোভাব ছিল না। আমার ফলোয়িং আমি নিজে অর্জন করেছি—যোগ্যতার ভিত্তিতে। আপনি আমাকে “অর্জনহীন” বলতেই পারেন, আর নিজে সারাদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় বসে থাকতে পারেন। আমি জানি, আমি কী অর্জন করেছি—ভালবাসা, সম্মান আর নিজের মতো বাঁচার সাহস। এই পোস্টটা আমি বাংলায় লিখছি, কারণ আমার জাতীয় স্তরের দর্শকরা আমাকে ভালোবাসেন আমি কে, সেটা জানার জন্য—আমি কোন পরিবার থেকে এসেছি, তার জন্য নয়। আমি সিনেমা করেছি, আবার বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি ছেড়েও দিয়েছি—কারণ এটা আমার জগৎ নয়, সেটা বলার সাহস আমার আছে। কেউ যদি ভাবে আমি খ্যাতির জন্য এসব করছি—তবে বলি, এটাই কারণ আমি কলকাতা ছেড়ে চলে এসেছি। যারা আমাকে সমর্থন করছেন, তাঁদের ধন্যবাদ। কিন্তু আমি কখনওই এমন কিছু সমর্থন করব না, যা কোনও শিশুকে ‘না’ বলতে বাধা দেয়। যদি ছোটবেলায় এসব আমরা জানতাম, তাহলে অনেক খারাপ ছোঁয়া আমরা এড়াতে পারতাম। মিডিয়া লিখে যাক। ট্রোলরা ট্রোল করে যাক। আমি পাত্তা দিই না। ভুল তো ভুলই। সকল নারীকে বলছি—সাবধানে থাকুন, আর কখনওই ভিক্টিম ব্লেমিং মেনে নেবেন না।”

লক্ষণীয় শ্রীনন্দা শঙ্করের সঙ্গে মমতা শঙ্করের সম্পর্ক সেরকম ভালো নয়, এমন চর্চা রয়েছে। সদ্য মমতা শঙ্কর কিছু ব্যাপারে মন্তব্য করেছেন, যার পরিপ্রেক্ষিতে পরিবারের বিবাদ প্রকাশ্যে চলে এলো, এমন মনে করছেন অনেকে।