উত্তম কুমার গলা টিপে ধরেছিলেন সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়ের,কেন?
ছবির দৃশ্যকে দর্শকদের সামনে বাস্তব সম্মত করার জন্য অনেক সময় অভিনেতারা এমন কিছু করে ফেলেন যেটা শিল্পীদের ক্ষতির কারন হতে পারে। উত্তম কুমার যখন মহানায়ক তখন তাঁর সহ অভিনেতাদের কাছে এই রকম বহু ঘটনা স্বাভাবিক।

কিংবদন্তি অভিনেত্রী সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়ের দীর্ঘ ফিল্ম কেরিয়ারের নানা ওঠাপড়ার কাহিনি নানা সময়ে খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে। তবে এমন কিছু গল্প জানলে আজও দর্শকদের মনে কৌতূহল তৈরি হয়। সম্প্রতি সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়ের আত্মীয় অভিনেত্রী পিঙ্কি বন্দ্যোপাধ্যায় তার একটি পডকাস্টে অভিনেত্রী সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে গল্প করলেন। সেই গল্পে উঠে এল এক অজানা গল্প। মহানায়ক উত্তম কুমারের সঙ্গে সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়ের অজানা গল্প।
কী সেই গল্প? দর্শকরা অল্প বিস্তর এটা জেনে গিয়েছেন উত্তম কুমারের সঙ্গে সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়ের সক্ষতার গল্প। বহু হিট ছবি দর্শকদের উপহার দিয়েছেন এই জুটি। উত্তমকুমার সুচিত্রা সেনের জুটির পাশাপাশি উত্তম-সাবিত্রীর জুটিও দর্শকদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে। উত্তম কুমার সব সময় কোন চরিত্রের মধ্যে ঢুকে যেতেন। আর মাশুল দিতে হত তাঁর সহঅভিনেতাদের। গল্পটা পরিচালক বিকাশ রায় পরিচালিত ছবি ‘মরুতীর্থ হিংলাজ’ নিয়ে। ১৯৫৯ সালের ছবি এই ছবিটি বাংলা সিনেমার ইতিহাসে অবশ্যই মাইলস্টোন হয়ে রয়েছে। এই ছবিতে উত্তম কুমারের বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়। শ্যুট এর সময় একটি দৃশ্য ছিল যেখানে সাবিত্রীর গলা টিপে ধরবেন উত্তম কুমার। সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়ের কথায়,” উত্তম কুমার সব চরিত্রের ভিতরে চলে যেতেন শ্যুট এর সময় । গলা টিপে ধরার সময় এত জোড়ে টিপে দিয়েছিলেন, যে আর একটু হলেই বিপদ হয়ে যেত। আমার বমি হয়ে গিয়েছিল। আমি বলেছিলাম উত্তমকুমারকে, আপনি এতো মগ্ন হয়ে যান কেনো চরিত্রেরমধ্যে?”
তবে এই ধরণের সমস্যার সম্মুখীন বহুবার হয়েছেন অভিনেত্রী। ‘ধন্যি মেয়ে’ ছবির শ্যুটিং এর,সময়ে উত্তম কুমারের ঘুমের মধ্যে লাথি মারার কথা সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়কে। এতোটাই জোরে মেরেছিলেন, যে সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায় খাট থেকে পড়ে যান, কোমরেও চোট পান। আসলে ছবির দৃশ্যকে দর্শকদের সামনে বাস্তব সম্মত করার জন্য অনেক সময় অভিনেতারা এমন কিছু করে ফেলেন যেটা শিল্পীদের ক্ষতির কারন হতে পারে। উত্তম কুমার যখন মহানায়ক তখন তাঁর সহ অভিনেতাদের কাছে এই রকম বহু ঘটনা স্বাভাবিক।
