
মালাইকা আরোরা, যিনি নিজেই প্রেম প্রস্তাব দিয়েছিলেন আরবাজ খানকে। নিজেই করতে চেয়েছিলেন বিয়ে। তবু কেন ভেঙে গিয়েছিল মালাইকা অরোরা ও আরবাজ খানের বিয়ে? নেপথ্যে ছিল কোন কারণ? বিয়ের ১৮ বছর পর কী এমন হল যে আলাদা হয়ে গেলেন তাঁরা? নেপথ্যে পরকীয়া নয়, তবে? একবার এক রিয়ালিটি শো’তে এই নিয়ে মুখ খুলেছিলেন মালাইকা। হাজির ছিলেন তাঁর বন্ধু ফারহা খানও। ফারহা জানান, ‘দাবাং’ ছবি অবধি তাঁর ও আরবাজের মধ্যে সব ঠিকই ছিল।
এমনকি ওই ছবি ‘মুন্নি বদনাম হুয়ি’ গানেও নাচ করতে দেখা যায় মালাইকাকে, যা ছিল সলমন খান ব্র্যান্ডের। সম্পর্কের অবনতির শুরু কোথা থেকে? মালাইকার উত্তর, “জীবন থেকে আলাদা কিছু চাইতাম। মনে হল কোথাও গিয়ে আমার স্পেসটা হারিয়ে যাচ্ছে। মনে হয়েছিল নিজেকে ঠিক করার জন্য আমায় বন্ধনমুক্ত হতে হবে।”
তিনি আরও বলেছিলেন, ”এখন আমরা অনেক ভাল আছি। দু’জন দু’জনকে সম্মান করি। আমাদের এক সন্তানও রয়েছে। কিন্তু তখন দু’জনেরই দু’জনকে অসহ্য লাগত। আমরা খুব রেগে যেতাম।” এই কঠিন সময়ে মালাইকার পাশে ছিলেন ফারহা খান ও করণ জোহর। সে কথা মনে করেই আবেগঘন মালাইকা। চোখ ভিজে এল তাঁর। তাঁর কথায়, “তোমরা যেভাবে সঙ্গে ছিলে তা কোনওদিনও ভুলব না।”
খান পরিবারে বিয়ে হয়ে আসার পর থেকে নতুনভাবে কেরিয়ার শুরু করেছিলেন মালাইকা। বিচ্ছেদ হয়ে গেলেও প্রাক্তন স্বামীকে নিয়ে প্রশংসায় পঞ্চমুখ তিনি। তাঁর কথায়, “অসম্ভব ভাল মানুষ ও। আজ আমি যেরকম তার নেপথ্যে ভূমিকা আরবাজের। আজ আমি যেখানে তাঁর কৃতিত্বও ওর।”
২০১৬ সালে বিচ্ছেদের ঘোষণা করেন মালাইকা ও আরবাজ। ২০১৭ সালে আইনিমতে ডিভোর্স হয় তাঁদের। বর্তমানে দুজনেই জীবনে অনেকখানি এগিয়ে গিয়েছেন।আরবাজ বিয়ে করেছেন। মালাইকা ও আরবাজের এক সন্তানও রয়েছে। নাম আরহান– বাবা ও মা দুজনে মিলেই মানুষ করেন ছেলেকে। দাম্পত্য ভেঙে গেলেও আজও তাঁরা বন্ধু, অন্তত এমনটাই দাবি মালাইকার।