হ্যাপি চলে গিয়েছে। জাহান ও দাশগুপ্ত পরিবারে মন ভাল নেই বেশ কিছু দিন ধরেই। হ্যাপি নুসরত ও যশের আদরের সন্তান। মূলত যশের সন্তানই বলা চলে তাকে। নুসরতের সঙ্গে তার দেখা কিছু বছর পর। হ্যাপি মানে নুসরত ও যশের সন্তানসম পোষ্যের মৃত্যুতে নুসরত এক আবেগঘন পোস্ট করলেও চুপ ছিলেন যশ। কিচ্ছু বলেননি। অবশেষে এক বিশেষ দিনে আলাপ কররিয়ে দিলেন তাঁর প্রিত্য বন্ধুর সঙ্গে। হ্যাপি ও অপর পোষ্যের ছবি শেয়ার করে যশ লিখলেন, “জাতীয় প্রিয় বন্ধু দিবস”। কখনোই গলা জড়িয়ে কখনও বা পরম স্নেহে মাথা রেখে তাঁর ও পোষ্যের মিষ্টি ছবিগুলি স্থান পেল যশের ইনস্টাপোস্টে। ভক্ত মন উঠল ভিজে। চোখের কোনে কি হালকা জল দেখা গেল প্রথম সারির এই অভিনেতারও?
প্রসঙ্গত, যশ ও নুসরতের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে চর্চা শুরু থেকে কম হয়নি। তবে ঈশান জন্ম নেওয়ার পরে সবচেয়ে বেশি কটাক্ষের মুখোমুখি হতে হয়েছিল এই দম্পতিকে। নিখিল জৈনের সঙ্গে নুসরতের বিচ্ছেদ, যশ দাশগুপ্তের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক– এ সব নিয়ে চর্চাও নেহাৎ কম হয়নি। নুসরত ও নিখিলের বিয়ে কেন টিকল না, সে অন্য প্রসঙ্গ। কিন্তু যশ ও নুসরতের প্রেম কীভাবে শুরু হয় জানেন? হার মানাবে সিনেমাকেও। এক সিনেমার শুটিং করতে গিয়ে প্রেমে পড়েন দু’জনে। এক টক শো নায়িকা জানিয়েছিলেন তিনি ও যশ নাকি ব্রেকআপ করবেন বলে স্থির করে নিয়েছিলেন। কিন্তু বাস্তবে ঘটেছিল অন্য কাণ্ড।
গাড়ি নিয়ে নুসরতের বাড়ির সামনে দাঁড়িয়েছিলেন যশ। নায়িকাকে বলেছিলেন, হয় নুসরত নিচে নামবেন অথবা যশ উপরে আসবেন। নুসরতের কথায়, “সেদিন আমাদের ব্রেকআপ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু না, হয়নি।” ব্রেকআপের বদলে দু’জনে সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা নাকি পালিয়ে যাবেন। ব্যস, ওই প্রেমের শুরু… এখন তাঁদের সংসারে আগমন হয়েছে ঈশানের । এর আগে টিভিনাইন বাংলাকে এক সাক্ষাৎকারে নুসরত জানিয়েছিলেন কাজ ও সংসার ব্যালেন্স করতে তাঁকে সবসময় সাহায্য করেন যশ। আর বাবা হিসেবে যশ দাশগুপ্তকে দিয়েছিলেন ফুল মার্কসেরও বেশি নম্বর। তবে আপাতত দাশগুপ্ত ও জাহান পরিবারের শোকের ছায়া। প্রিয় বন্ধু বা সন্তানসম পোষ্যের মৃত্যু কেই বা মেনে নিতে পারে?