
বর্ষাকাল মানেই সর্দি, কাশি, জ্বর, ভাইরাল ইনফেকশন, বদহজমের উপদ্রব বেশি। এই সময়ে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা (immunity) দুর্বল হয়ে পড়ে, ফলে সংক্রমণের আশঙ্কা বেড়ে যায়। তাই বর্ষাকালে খাবারে এমন ফল অন্তর্ভুক্ত করা উচিত, যেগুলি শরীরকে ভেতর থেকে শক্তি জোগায় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
১. আমলকি (Amla)
ভিটামিন C-এর অন্যতম সেরা উৎস। এটি দেহে শ্বেত রক্তকণিকা (WBC) গঠনে সাহায্য করে, যা সংক্রমণ প্রতিরোধ করে।
২. পেঁপে (Papaya)
এনজাইম ও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ভরপুর। হজমে সহায়তা করে ও ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়ার সময় রক্তে প্লেটলেট বাড়াতেও সাহায্য করে।
৩. জাম (Jamun)
অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি-ডায়াবেটিক উপাদানে সমৃদ্ধ। বর্ষায় সংক্রমণ রুখতে কার্যকর।
৪. আনারস (Pineapple)
ব্রোমেলিন নামক একটি শক্তিশালী এনজাইম রয়েছে, যা ফ্লু ও ঠান্ডা প্রতিরোধে সাহায্য করে।
৫. কমলালেবু (Orange)
উচ্চমাত্রায় ভিটামিন C ও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট রয়েছে, যা ঠান্ডা-জ্বর প্রতিরোধ করে ও ইমিউন সিস্টেম মজবুত করে।
৬. আপেল (Apple)
“An apple a day keeps the doctor away”—এই কথাটির মতোই, আপেলে ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকে, যা দেহকে সুস্থ রাখে।
৭. কলা (Banana)
এনার্জি বাড়ায়, হজমে সাহায্য করে এবং ইলেক্ট্রোলাইট ব্যালান্স বজায় রাখে, যা বর্ষায় খুব দরকারি।
৮. ড্রাগন ফল (Dragon Fruit)
ভিটামিন C, আয়রন ও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ভরপুর, যা শরীরকে ফ্রি র্যাডিক্যালসের ক্ষতি থেকে বাঁচায়।
৯. কিউই (Kiwi)
উচ্চমাত্রার ভিটামিন C ও E-এর কারণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং সর্দি-কাশি রোধ করে।
১০. নাশপাতি (Pear)
অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ও ফাইবারসমৃদ্ধ এই ফল হজম ঠিক রাখে এবং শ্বাসপ্রশ্বাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
বর্ষাকালে শরীরকে বাইরের জীবাণু ও ভাইরাস থেকে রক্ষা করতে হলে পুষ্টিকর ও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টসমৃদ্ধ ফল খাওয়া অত্যন্ত জরুরি। উপরোক্ত ফলগুলি শুধু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় না, বরং শরীরকে সতেজ ও শক্তিশালী করে তোলে। প্রতিদিনের ডায়েটে অন্তত ২-৩ ধরনের ফল রাখাই উত্তম।