কোভিড পরবর্তী সময়ে সকলেই এখন স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতন হয়ে উঠেছেন। সুস্থ থাকতে গেলে যে স্বাস্থ্যের উপরই জোর দিতে হবে একথা সকলেই বুঝতে পেরেছেন। ফলে সুস্থ থাকতে যা যা জরুরি তা কমবেশি সকলেই মেনে চলার চেষ্টা করছেন। সেই তালিকায় ডায়েট, স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, প্রোটিন বেশি করে খাওয়া, কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ কমিয়ে আনা, ভিটামিন বেশি খাওয়া, জল বেশি খাওয়া এইসবই রয়েছে। সেই সঙ্গে সময়ে খাবার খাওয়া এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার একেবারেই এড়িয়ে চলা কিন্তু জরুরি। এছাড়াও খাবার আমাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উপরেও প্রভাব ফেলে। আর তাই কোন সময়ে কী খাবার খাচ্ছেন তা কিন্তু মেনে চলাও জরুরি।
সঠিক ওজন বজায় রাখতে এবং বিভিন্ন রোগ অসুস্থতা থেকে দূরে রাখতে একমাত্র খাবারই পারে। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে বর্তমানে মৃত্যুর অন্যতম কারণ হল হৃদরোগ। বিশ্বজুড়েই প্রতি বছর প্রচুর সংখ্যক মানুষের মৃত্যু হয় হার্টের সমস্যা জনিত কারণে। সেই সঙ্গে ডায়াবিটিস, উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা এসব তো আছেই। আর এই সব রোগ-সমস্যা রুখতে কিন্তু ভূমিকা রয়েছে ডায়েটের। বর্তমানে শহর এবং শহরাঞ্চলে বাড়ছে এই উচ্চরক্তচাপজনিত সমস্যা। যা কিন্তু রীতিমতো উদ্বেগের। রক্তচাপ বাড়লেই সেখান থেকে আসে আরো একাধিক সমস্যা।
তাই সুস্থ থাকতে গেলে সময়ে খাবার খেতে হবে। ফল, শাকসবজি, বিভিন্ন বাদাম এসব কিন্তু রাখতেই হবে রোজকার ডায়েটে। স্ট্রেস কমাতে হবে। সেই সঙ্গে অতিরিক্ত নুন, চিনি আছে এরকম খাবারও একেবারেই এড়িয়ে চলতে হবে। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ খাবার বেশি পরিমাণে খেতে হবে। এতে কমে ক্যানসারের ঝুঁকি।
ফল, শাক-সবজি, লেবু এই প্রতিটি খাবারই অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ। তাই রোজকার ডায়েটে অবশ্যই রাখবেন এই সব খাবার। এছাড়াও এি সব খাবার কিন্তু আমাদের ক্যানসার প্রকিরোধেও সাহায্য করে। ফল, শাক-সবজির মধ্যো গ্লাইসেমিক ইনডেক্সসগম। আর তাও কিন্তু অবশ্যি রাখুন রোজকার ডায়েটে। যে সব বফলের মধ্যে বেশি পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে, যেমন আপেল, কমলালেবু, লেবু এসব রাখুন রোজকারের ডায়েটে। বিভিন্ন রকম শাক, গাজর, বিনস, ক্যাপসিকাম, টমেটো এসব কিন্তু রোজ খাবেন। এছাড়াও রসুন খান। রসুন আমাদের শরীরে অনেক রকম উপকার করে। শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এই ভাবে রোজকার খাবারের অভ্যাসে পরিবর্তন আনতে পারলে কিন্তু শরীর থাকবে সুস্থ।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।