স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন যাঁরা, তাঁদের খাদ্যতালিকায় ডিম থাকবেই। কারণ যে কোনও সময় পেট ভরাতে ও পুষ্টির জন্য একটি সুপারফুড ডিমই যথেষ্ট। কথাই রয়েছে, আন্ডা কি ফান্ডা। আর আজ ডিমের পুষ্টিগুণের গুরুত্ব বৃদ্ধির জন্য ৮ অক্টোবর বিশ্ব ডিম দিবস হিসেবে পালন করা হয়। এই ছোট সাদা খাদ্যবস্তুর মধ্যে রয়েছে ভরপুর প্রোটিন।
মুরগির ডিম, মাছের ডিম, পাখির ডিম এমনকি মানুষের পরিচিত অন্যান্য ডিম-সহ সমস্ত ধরনের ডিমের গুরুত্ব নিয়ে উদ্যাপন করা হয় এইদিন। ১৯৯৬ সালে ভিয়েনায় প্রথম বিশ্ব ডিম দিবস পালন করা হয়। প্রতিবছর অক্টোবরের দ্বিতীয় শুক্রবার বিশ্বের ৪০টিরও বেশি দেশে বিশ্ব ডিম দিবস হিসেবে পালন করা হয়। এই উপলক্ষ্যে ডিমের পাঁচটি স্বাস্থ্যের উপকারিতা জেনে রাখুন একনজরে…
পুষ্টি-সমৃদ্ধ খাবার
ডিমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি। দৈনন্দিন ডায়েটের জন্য দরকার ডিম। কারণ প্রতিদিন আমাদের শরীরে ৮২ শতাংশ ভিটামিন ডি, ৫০ শতাংশ ফোলেট, ২৫ শতাংশ ভিটামিন বি ২ বা রিবোফ্লোবিন ও ৪০ শতাংশ সেলেনিয়ামের প্রয়োজন হয়। এছাড়া এতে রয়েছে ভিটামিন এ, ই, বি ৫, বি ১২, পাশাপাশি আয়রন, আয়োডিন এবং ফসফরাস। যা স্বাস্থ্যকর, সুষম ডায়েটকে গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টির উপাদান দিয়ে ভরিয়ে তোলে।
দৃষ্টিশক্তি ভাল রাখতে
শিশু থেকে প্রবীণ, সকলেরই ডিম খাওয়া দরকার। ডিম ভাল দৃষ্টিশক্তি বজায় রাখতে সাহায্য করে। ডিমের কুসুমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে লুটিন ও জেক্সানথিন। এছাড়া এতে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। চোখের ছানি ও ম্যাকুলার অবক্ষয়ের সম্ভাবনা কমাতে সাহায্য করে। ডিমের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন এ, যা চোখের স্বাস্থ্যের জন্য দারুণ কার্যকরী।
প্রোটিন ও অ্যামিনো অ্যাসিড সরবরাহ করে
ডিমে রয়েছে প্রায় ৬ গ্রাম প্রোটিন। পাশাপাশি অ্যামিনো অ্যাসিডও থাকে। সঠিক পরিমাণে প্রোটিন গ্রহণ করলে ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। পেশি শক্তি বৃদ্ধিতে, ব্লাড প্রেসার কম করতে ও হাড়ের শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
ডিমে রয়েছে ভাল কোলেস্টেরল
ভাল মানের লিপোপ্রোটিনের মাত্রা বাড়ানোর জন্য প্রতিদিনের ডায়েটে ডিম থাকা জরুরি। মোট কথা হল, ভাল কোলেস্টেরল হিসেবে ডিমের পরিচিতি রয়েছে। যাঁদের HDL-এর মাত্রা বেশি, তাঁদের হৃদরোগ, স্ট্রোক এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যার ঝুঁকি কম। একটি গবেষণায় দেখা গেছে, ছয় সপ্তাহ ধরে দিনে দুটি ডিম খাওয়ার ফলে এইচডিএলের মাত্রা ১০ শতাংশ বৃদ্ধি পায়।
মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী
শরীরের পুষ্টি সরবরাহের জন্য ডিম যেমন প্রয়োজন, তেমনি মানসিক স্বাস্থ্যের অস্থিরতা কাটাতেও ডিমের পুষ্টিগুণ কাজে লাগে। কারণ এতে রয়েছে ভিটামিন বি ২, বি ১২, কোলিন, আয়রন ও ট্রিপটোফানের সংমিশ্রণ। এর ফলে উদ্বেগ, বিষন্নতা , অবসাদ-হতাশা কাটাতে সহায়তা করে। স্বাভাবিক ঘুমের জন্যও সুপারফুড হিসেবে ডিম গ্রহণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।