
ইদানীং ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রাবৃদ্ধি সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রায় প্রতি বাড়িতেই ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যায় ভোগা একজন রয়েছেন। বয়স বাড়লে যে ইউরিক অ্যাসিডের বাড়বাড়ন্ত শুরু হয়, এমনটা কিন্তু নয়। অনেক সময় ৪০-এ পা দিয়েও আপনি ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যায় ভুগতে পারেন। মূলত অত্যধিক পরিমাণে প্রোটিনযুক্ত খাবার খাওয়ার ফলে রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে যায়। এমনকি মদ্যপানের অভ্যাসও ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়তে পারে। কারণ যা-ই হোক না কেন, ইউরিক অ্যাসিড বাড়লে গাঁটে গাঁটে যে যন্ত্রণা শুরু হয়, তা মারাত্মক। গাউটের যন্ত্রণা সহ্য করা বেশ কষ্টকর। তবে, বেশ কিছু ঘরোয়া টোটকা রয়েছে, যা ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
আদা চা: আদার মধ্যে প্রদাহ কমানো ক্ষমতা রয়েছে। ইউরিক অ্যাসিডের মতো সমস্যায় আদা চা দুর্দান্ত ফল দেয়। আদার মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমাতে এবং গাউটের ব্যথা থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করে।
অ্যাপেল সিডার ভিনিগার: সকালবেলা খালি পেটে এক গ্লাস জলে এক চামচ অ্যাপেল সিডার ভিনিগার মিশিয়ে খান। এই পানীয় ওজন কমাতে সাহায্য করে এবং শরীর থেকে অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড বের করে দেয়।
লেবুর জল: দেহে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে লেবুর জল। লেবুর রসে ভিটামিন সি রয়েছে, যা ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে।
মেথি ভেজানো জল: ডায়াবেটিসে রোগীদের সুগার লেভেলকে বশে রাখতে মেথি ভেজানো জল খান। এই পানীয় ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। মেথির মধ্যে ভিটামিন কে, থায়ামিন, ভিটামিন এ এবং ভিটামিন বি৬, ক্যালশিয়াম, আয়রন, ফলিক অ্যাসিড, রাইবোফ্লাভিনের মতো বিভিন্ন উপাদান রয়েছে। দেহের ওজন কমাতে, গাঁটের ব্যথা কমাতে এবং হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে মেথি ভেজানো জল।
আমলকির রস: আমলকির মধ্যে ভিটামিন সি রয়েছে, যা ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমাতে উপযোগী। সকালে খালি পেটে এক গ্লাস জলে এক চামচ আমলকির রস মিশিয়ে পান করুন। এতে দুর্দান্ত উপকার পাওয়া যায়।