
রোজকারের জীবনে ব্যস্ততা এতটাই বেড়েছে যে নিজের জন্য সময় নেই। এর জেরেই ঠিক সময়ে খাবার খাচ্ছেন না। পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম হচ্ছে না। আলাদা করে শরীরচর্চা করারও সময় থাকে না। তাছাড়া কাজের চাপ, মানসিক চাপও রয়েছে। এসব কিছু সরাসরি প্রভাব ফেলে আপনার ওজনের উপর। যতই স্বাস্থ্যকর খাওয়া-দাওয়া করুন, সঠিক সময়ে খাবার না খেলে কিংবা শরীরচর্চা না করলে ওজন বাড়বেই। তার সঙ্গে জাঁকিয়ে বসতে পারে ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরলের মতো রোগ। এই অবস্থায় কয়েকটি পাতা রোজ চিবিয়ে খেলে উপকার মিলবে। ওবেসিটির হাত থেকে সুরক্ষিত থাকতে পারবেন এবং রোগও আপনাকে ছুঁতে পারবে না।
পুদিনা পাতা: এই গরমে পুদিনা পাতার মতো রিফ্রেশিং ভেষজ কিছু হয় না। পুদিনা পাতার জল গরমে শরীরে তরতাজা ভাব এনে দেয়। যে কোনও পানীয়তে মেশাতে পারেন এই পাতা। পুদিনা পাতা খিদেকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। পাশাপাশি গ্যাস-অম্বলের সমস্যাকে দূরে রাখে।
থানকুনি পাতা: স্বাদে তেতো হলেও শরীরের জন্য উপকারী থানকুনি পাতা। পেটের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে থানকুনি পাতা। রোগের হাত থেকেও শরীরকে সুরক্ষিত রাখে এই পাতা। ফোলাভাব কমাতে এবং ওজনকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে থানকুনি পাতা খান।
রোজমেরি পাতা: গন্ধের জন্য রোজমেরি পাতার চাহিদা সবচেয়ে বেশি। তবে, এর স্বাস্থ্য উপকারিতাও কম নয়। রোজমেরি পাতায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি উপাদান রয়েছে, যা শরীরকে একাধিক সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করে। এটি বিপাক ক্রিয়া বাড়িয়ে ওজন কমাতে সাহায্য করে।
জোয়ানের পাতা: জোয়ানের মতো এর পাতাও পুষ্টিতে ভরপুর। জোয়ানের পাতায় পলিফেনল ও ফ্ল্যাভোনয়েডের মতো বায়োঅ্যাক্টিভ যৌগ রয়েছে। এটি ইনসুলিন হরমোনের কার্যকারিতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। যার জেরে দূরে থাকে ডায়াবেটিস। এছাড়া জোয়ানের পাতা মেটাবলিক রেট উন্নত করতে সাহায্য করে। তাই জোয়ানের পাতা চিবিয়ে খেলে ওজন বেড়ে যাওয়ার কোনও সম্ভাবনাই নেই। এছাড়া কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাকে দূর করতে এবং হজম ক্ষমতা বাড়াতে উপযোগী জোয়ানের পাতা।
নিম পাতা: নিম পাতার নাম শুনলেই নাক সিঁটকান? কিন্তু এই পাতাতেই লুকিয়ে রয়েছে সুস্বাস্থ্যের চাবিকাঠি। নিম পাতা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে। খালি পেটে নিম পাতার সঙ্গে কাঁচা হলুদ ও আখের গুড় খেলে চমৎকার ফল পাবেন। এটি রক্তকে বিশুদ্ধ করতেও সাহায্য করে, যার জেরে ত্বকের সমস্যা কমে।