
বাড়তি ভুঁড়ি কিন্তু রোগের লক্ষণ। আজকাল কম বয়সিদের মধ্যে হাই-ট্রাইগ্লিসারাইড, ওবেসিটির সমস্যা দেখা দিচ্ছে। তার সঙ্গে বাড়ছে ফ্যাটি লিভারের সমস্যা। নেপথ্যে দায়ী খারাপ খাদ্যাভ্যাস ও শরীরচর্চার অভাব। লিভারের স্বাস্থ্য ভাল না রাখলে দেহে পুষ্টির ঘাটতি তৈরি হবে, মেটাবলিজম দুর্বল হয়ে পড়বে, শরীর থেকে টক্সিন পদার্থ বেরোয় না। লিভারের স্বাস্থ্যকে ভাল রাখতে হলে খাদ্যতালিকায় উচ্চ পরিমাণ ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও স্বাস্থ্যকর ফ্যাট রাখা জরুরি। শাকসবজি, বাদাম ও বীজ, মাছ ইত্যাদি খাবার লিভারের স্বাস্থ্যকে উন্নত করে। এছাড়া বেশ কিছু ভেষজ উপাদান রয়েছে, যা লিভারের জন্য ভীষণ উপকারী।
আমলকি: আয়ুর্বেদে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয় আমলকিকে। আমলকির মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা লিভারকে ক্ষয়ের হাত থেকে রক্ষা করে এবং টক্সিন বের করে দেয়। এতে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান ফ্যাটি লিভারকে প্রতিরোধ করে। এছাড়াও আমলকিতে ভিটামিন বি, ই, আয়রন, কপার রয়েছে, যা লিভারের কার্যকারিতাকে উন্নত করে।
নিম: নিম পাতার নাম শুনেই অনেকে নাক সিটকান। কিন্তু এই তেঁতো খাবারেই লিভারের স্বাস্থ্য লুকিয়ে রয়েছে। নিম পাতা লিভারের কার্যকারিতাকে উন্নত করে এবং টক্সিন বের করে দেয়। পাশাপাশি যে কোনও সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে।
হলুদ: রোজের রান্নায় হলুদ দিতে ভুলবেন না। হলুদের মধ্যে থাকা কারকিউমিন ও অন্যান্য যৌগ লিভারের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। বদহজম প্রতিরোধ করা থেকে শুরু করে শরীর থেকে টক্সিন বের করে উপযোগী হলুদ।
আদা ও রসুন: এই দুই উপাদানই বাঙালির রান্নাঘরে সহজেই পাওয়া যায়। আদা খেলে লিভারের ক্ষয় হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়। রসুনের মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদানও লিভারের স্বাস্থ্যকে উন্নত করে তোলে।
তুলসি: তুলসির মধ্যে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা লিভারকে ভাইরাস ও সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করে। এছাড়া হজম স্বাস্থ্য উন্নত করে তুলসি। সঠিক খাদ্যাভ্যাসের পাশাপাশি আপনাকে শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকতে হবে। শরীরচর্চা করলে তবেই লিভারের স্বাস্থ্য ভাল থাকবে।