
কুসুমের লোভেই অনেকে ডিম খান। কুসুম ছাড়া ডিমের স্বাদ হতে পারে এমনটা মনেই করেন না অনেকে। আবার কুসুমের আঁশটে গন্ধের কারণে অনেক মানুষ ডিম থেকে দূরে থাকেন। গরম গরম ডিম আর কুসুমের লোভে এক একজন ১০ টা পর্যন্ত ডিম খেয়ে নেন। আবার পোত হলে তো কথাই নেই। একসঙ্গে ৪ টে খেয়ে তবে শান্তি। কুসুম খেতে ভাল, কিছু গুণাগুণও আছে। কিন্তু অতিরিক্ত খাওয়া একেবারেই ভাল নয়। এমন অনেকেই আছেন যাঁরা নিজের কুসুম খেয়ে বন্ধুর পাত থেকেও কুসুম তুলে খেতে ছাড়ে না। জিম ট্রেনার থেকে পুষ্টিবিদ সকলেই ডিমের সাদা অংশ খাওয়ার কথা বলেন কিন্তু কুসুম খেতে কেউই বলেন না। কুসুমের মধ্যে ক্যালোরি অনেক বেশি, কুসুম খেলে বাড়ে কোলেস্টেরলও।
চোখের খিদে থেকেই মানুষ ডিমের কুসুম খান। তা যেমন ওজন বাড়ার কারণ তেমনই শরীরে একাধিক রোগ জ্বালাও ডেকে আনে এই অতিরিক্ত ডিম প্রেম। ডিমের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন, খনিজ। পুষ্টির দারুণ উৎস ভাণ্ডার হল ডিম। তবে পরিমাণের তুলনায় বেশি খেলে সেখান থেকে সমস্যা হবেই। একটি ডিমের কুসুমে রয়েছে প্রায় ১৯০ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল। তাই নিয়মিত ডিমের কুসুম খেলে অচিরেই রক্তে লিপিডের মাত্রা বাড়বে। আর সেখান থেকে হার্ট অ্যাটাক, পেরিফেরাল আর্টারি ডিজিজ-সহ একাধিক সমস্যা হতে পারে। ডিমের কুসুম বেশি খেলে সেখান থেকে পড়বেন একাধিক রোগের খপ্পরে। এখন থেকেই জেনে রাখুন, সতর্ক হন আর এড়িয়ে চলুন নিজের বিপদ।
ওজন বেশি থাকাটা কোনও কাজের কথা নয়। বরং এই কারণে ডায়াবিটিস, কোলেস্টেরল, হাই প্রেশার থেকে শুরু করে একাধিক জটিল অসুখের ফাঁদে পড়ার আশঙ্কা বাড়ে। আর তাই সুস্থ থাকতে চাইলে ওজন কমাতেই হবে। যে কারণে কুসুম খাওয়া চলবে না। কুসুমের মধ্যে প্রচুর ক্যালোরি থাকে যে কারণে ওজন বাড়বেই।
অন্যের পাত থেকে চুরি করে ডিমের কুসুম খেলে রক্তে শর্করা বাড়বে চড়চড়িয়ে। আজকাল টাইপ ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। আর এর জন্য দায়ী এই কুসুমের প্রতি বিরাট লোভ। ডায়াবিটিস, কোলেস্টেরল, হাই প্রেশার না থাকলে প্রতিদিন একটা গোটা ডিম খাওয়া যায়। তবে এইসব ক্রনিক রোগ থাকলে সপ্তাহে ১ থেকে ২টোর বেশি ডিমের কুসুম বা গোটা ডিম খাবেন না। সেই সঙ্গে কাঁচা নুনও কিন্তু ভুল করেও ছড়াবেন না।