মুখে দুর্গন্ধের সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। খুবই সাধারণ সমস্যা। কিন্তু অনেকেই এই সমস্যায় তেমন গুরুত্ব দেন না। কিন্তু আপনার মুখের দুর্গন্ধের কারণে পাশের জন বিব্রত বোধ করতে পারে। বিশ্বের মধ্যে প্রচি চারজনের মধ্যে একজনের এই সমস্যা থাকে। এছাড়াও মুখের দুর্গন্ধ কিন্তু বেশ কিছু জটিল রোগের লক্ষণও। আর তাই নিজেকেই এ ব্যাপারে আগে থেকে সচেতন হতে হবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে মুখের দুর্গন্ধ এড়ানোর সবচেয়ে ভাল উপায় হল মুখ হাইড্রেট রাখা। মেনে চলতে পারেন ঘরোয়া কিছু টোটকা। তবে এই সমস্যা ফেলে না রেখে অবিলম্বে কোনও দন্ত বিশেষজ্ঞের কাছে দেখিয়ে নেওয়াই কিন্তু শ্রেয়। কিন্তু কেন নিঃশ্বাসে এমন দুর্গন্ধ হয়? কারণ জানেন কি!
যাঁদের টনসিলের সমস্যা থাকে তাঁদের কিন্তু মুখে দুর্গন্ধ বেশি হয়। কারণ অল্প ওয়েদার চেঞ্জেই তাংরা গলা ব্যতার সমস্যায় ভোগেন। আর এই গলায় সংক্রমণের কারণ হল একরকম ব্যাকটেরিয়া। যা আমাদের শরীরে সংক্রমণের জন্য দায়ী। ব্যাকটেরিয়ার বংশবৃদ্ধির জন্যই মুখে দুর্গন্ধ হয়। আর তাই মাউথ ওয়াশ ব্যবহার, অ্যাপেল সিডার ভিনিগার মিশিয়ে গার্গল করা, গরম জলে নুন ফেলে গার্গল করা একান্ত জরুরি।
ব্রেকফাস্টে এড়িয়ে চলুন মিষ্টি কোনও খাবার। এমনকী চায়েও দুধ আর চিনি খাবেন না। আর ব্রেকফাস্ট কখনই বাদ দেবেন না। ব্রেকফাস্ট বাদ দিলে একাধিক স্বাস্থ্য সমস্যা আসতে পারে। রোজ যদি আপেল, দই, দুধ ব্রেকফাস্টে খান তাহলে এই সমস্যা কিছুটা কম হয়।
নাক দিয়ে শ্বাস নিন। মুখ খুলে নয়। নাক দিয়ে শ্বাস নিলে ভাল অভ্যাস তৈরি হয়। মাড়ির রোগ, মানসিক রোগ এবং অযথা উদ্বেগের হাত থেকেও রেহাই পাওয়া যায়। সেই সঙ্গে যে কোনও খাবার আগে ও পরে জল খান। মশলাদার কোনও খাবারের পর মৌরি খান। খেতে পারেন মিষ্টিছাড়া চুইংগাম। এতেও দুর্গন্ধ দূর হয়।
বছরে অন্তত একবার দন্ত চিকিৎসকের কাছে গিয়ে স্কেলিং করিয়ে আসুন। এতে দাঁত থাকবে ঝকঝকে। ব্যাকটেরিয়ার হাত থেকে রেহাই পাবেন। দাঁতে হলুদ ছোপও কিন্তু পড়বে না।