সম্প্রতি একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, মোট জনসংখ্যার প্রায় ২৩ শতাংশ মানুষের অর্থাত প্রায় ৩ কোটি মানুষ দৃষ্টিশক্তি দুর্বলতায় ভুগছেন। তার পিছনে রয়েছে বিভিন্ন সমস্যা। অতিরিক্ত স্ক্রিনটাইম, ছানি, গ্লুকোমা, ডায়াবেটিস ও বয়স সংক্রান্ত সমস্যা ও আরও জটিল কিছু। চোখ মানুষের দেহের জানালা। চোখের ছোটখাটো সমস্যাকে ফেলে রাখলেই তা পরবর্তী কালে বড় আকার ধারণ করতে পারে। তাই প্রথম দিন থেকেই চোখের সম্পূর্ণ যত্ন নেওয়া প্রয়োজন।
প্রতিবছর ১৪ অক্টোবর বিশ্ব দৃষ্টি দিবস হিসেবে পালন করা হয়। অন্ধত্ব, দৃষ্টিশক্তি প্রতিবন্ধকতা এবং চোখের স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য পালন করা হয় এদিন। চোখের স্বাস্থ্য এবং দৃষ্টিশক্তি অক্ষুণ্ণ রাখতে পাঁচটি সহজ ও বৈজ্ঞানিক টিপস দেওয়া রইল এখানে..
সঠিক চশমা পরুন
চশমা আপনার চোখের স্বাস্থ্য অক্ষুন্ন রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। দুর্বল দৃষ্টিশক্তি এবং স্ক্রিনটাইম থেকে ক্ষতি এড়ানোর জন্য সঠিক ধরনের চশমা পরা জরুরি। ব্লু কোটিং সহ প্রতিবিম্ব-বিরোধী লেন্সের মতো পর্দা ব্যবহারের জন্য সঠিক চশমা পরা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সবুজ শাকসবজি খান
সবুজ শাকসবজি চোখের জন্য উপকারী ও স্বাস্থ্যকরও বটে। শাকসবজি যেমন পালংশাক, কেল এবং ব্রকোলিতে রয়েছে লুটিন এবং জেক্সানথিন যা চোখের সমস্যা যেমন চোখের ছানি প্রতিরোধে সাহায্য করে। এছাড়াও, ভিটামিন সি এবং ই এবং জিঙ্ক সমৃদ্ধ খাবার, বয়স সম্পর্কিত ম্যাকুলার ডিজনারেশন (এআরএমডি) নামক অবস্থার বিকাশের ঝুঁকি হ্রাস করে।
চোখ আর্দ্র রাখুন
শুষ্ক চোখ অন্যতম সাধারণ কারণ। দূষণের কারণে এবং উজ্জ্বল স্ক্রিনে অতিরিক্ত তাকানোর কারণে ঘটে। ষ্কতা এবং জ্বালা এড়াতে ডাক্তার দ্বারা প্রস্তাবিত চোখের ড্রপ ব্যবহার করুন। এছাড়াও, যতটা সম্ভব ল্যাপটপ এবং ফোনের স্ক্রিন থেকে দূরে থাকুন।
অতিরিক্ত স্ক্রিন টাইম এড়িয়ে চলুন
স্ক্রিনটাইম বৃদ্ধি পেলে একজন ব্যক্তির দৃষ্টিশক্তি দপর্বল হওয়ার সবচেয়ে বড় কারণ। চোখের স্বাস্থ্যের বিপদ এড়ানোর জন্য স্ক্রিনের সময় সীমাবদ্ধ করুন এবং কয়েক নির্দিষ্ট ঘন্টা নিবেদনের পরে গ্যাজেটগুলি থেকে দূরে থাকুন। ল্যাপটপের মাধ্যমে কাজ করলে প্রতি ২০ মিনিটে ২০ সেকেন্ডের স্ক্রিন ব্রেক নিন। চোখের সুবিধার জন্য ফ্রন্টের আকার বৃদ্ধি করুন এবং স্ক্রিনের উজ্জ্বলতা হ্রাস করুন। ঘরের মধ্যে ভাল মানের আলোর ব্যবস্থা করুন।
নিয়মিত আপনার চোখ পরীক্ষা করুন
চোখের ডাক্তার দ্বারা নিয়মিত আপনার চোখ পরীক্ষা করা। ৪০ বছর পেরিয়ে গেলে প্রতি ২ বছর পর পর পরীক্ষা করা উচিত। পঞ্চাশের উপর বয়স হলে বছরে দুবার পরীক্ষা করান।