আমাদের রোজকার খাবারের মধ্যে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। কিন্তু আমরা সেই সব খাবারের সঠিক ব্যবহার জানি না। সেই তালিকাতেই রয়েছে রসুন। রসুন নিয়মিত ভাবে খেতে পারলে একাধিক সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। পুরুষদের জন্য রসুন বিশেষ উপকারী। আয়ুর্বেদে রসুনের একাধিক উপকারিতার কথা বলা রয়েছে। রসুনের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি ভাইরাল, অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান। খালিপেটে ২-৩ কোয়া রসুনের কোয়া খেলে অনেক রোগ সেরে যায়। শরীরে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়ে। প্রতিটি অঙ্গ সুস্থ-সবল থাকে। বেশ কিছু গবেষণায় বলা হয়েছে নিয়মিত রসুন খেলে সর্দি-কাশির কোনও রকম সমস্যা থাকে না।
মহিলাদের তুলনায় পুরুষদের মধ্যে হৃদরোগের ঝুঁকি বেশি। এর কারণ উচ্চ রক্তচাপ। নিয়মিত ভাবে রসুন খেলে এই রক্তচাপ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে থাকে। যাঁদের হাড়ের শক্তি কম, হাড় দুর্বল তাঁরাও নিয়মিত ভাবে রসুন খেলে অনেক উপকার পাবেন। অস্টিওপোরোসিস ও অস্টিওআর্থারাইটিসের ঝুঁকি কমাতেও খুব ভাল রসুন। ছেলেদের মধ্যে যৌন ক্ষমতা বাড়াতেও কাজে আসে রসুন।
পরিপাকতন্ত্রের যে কোনও সমস্যা দূর করতে রসুন ভাল কাজ করে। যাঁরা উচ্চরক্তচাপে ভুগছেন তাঁদের তাই রোজ রসুন খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। অ্যাংজাইটি, ডিপ্রেশন দূর করে শরীরকে ডিটক্সিফাই করতেও রসুনের জুড়ি মেলা ভার। দাঁতের সমস্যা, গেঁটে বাত, ক্যানসার রুখতেও খুব ভাল কাজ করে রসুন।
রান্নায় অন্তত দু কোয়া করে রসুন রোজ দিতে পারেন। ব্রেকফাস্টের পর দু কোয়া রসুন চিবিয়ে খেলে খুব ভাল। এতে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়বে। গরম ভাতের সঙ্গে ঘিয়ে ভাজা রসুনও খেতে পারেন। এতে হজমের সমস্যা আর কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। ১-২ কোয়া রসুন খুব সামান্য তেলে নেড়েচেড়ে মধুর সঙ্গে খান। রোজ রাতে খেলে বুকে জমে থাকা কপ বেরিয়ে আসবে খুব সহজেই। প্রতিদিন একদ্লাস ইষদুষ্ণ জলে লেবুর রস মেশান। এবার একটা চামচ মধু নিয়ে ওর মধ্যে দু কোয়া রসুন ফেলে চিবিয়ে খেতে পারলে চর্বি কমবে দ্রুত। ২-৩ কোয়া রসুন কুচি করে ১ টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে খান। প্রতিদিন খেলে শরীর থাকবে ফিট ও এনার্জিতে ভরপুর। প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস গরম জলে ২ কোয়া রসুন দিয়ে খান। এটি রক্ত পরিষ্কার করতে সাহায্য করবে।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।