
প্যাচপ্যাচে গরমের পর বৃষ্টি স্বস্তির নিঃশ্বাস এনে দেয়। কিন্তু বর্ষাকাল আসা মানেই সঙ্গে হাজারো রোগ ও সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে। বর্ষায় সংক্রমণের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি থেকে। বড়রা নিজেদের বিষয়ে সচেতন থাকলেও বাড়ির খুদেকে নিয়ে বেশি চিন্তা থাকে। বৃষ্টির জলে ভিজে সর্দি-কাশি থেকে শুরু করে, জলবাহিত রোগের শিকার হতে হয় বাচ্চাদের। জল-কাদার মধ্যেও ভাইরাস লুকিয়ে থাকে, যা জেরে আপনার শিশু সংক্রমণের শিকার হতে পারে। তাই এই বর্ষায় আপনার শিশুকে কীভাবে সুরক্ষিত রাখবেন, জানেন? রইল ৫ টিপস।
১) বয়স অনুযায়ী আপনার সন্তানের সমস্ত টিকাকরণ সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে, এ বিষয়ে খেয়াল রাখুন। এছাড়া সন্তানকে পর্যাপ্ত পরিমাণ জল পান করান। শরীরে জলের ঘাটতি তৈরি হলে রোগ আরও জাঁকিয়ে বসবে। ঋতু পরিবর্তনের সময় জ্বর, সর্দি-কাশি হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি থাকে। এসব এড়াতে শরীরকে হাইড্রেটেড রাখা দরকার। যেহেতু এখন জলবাহিত রোগের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি, তাই জল ফুটিয়ে খাওয়াতে পারেন। কিংবা ফ্লিটার করা জল খাওয়াতে পারেন।
২) জলের পাশাপাশি খাওয়া-দাওয়ার দিকেও নজর দিতে হবে। বর্ষায় রাস্তার খাবার যত এড়িয়ে যাবেন তত ভাল। ভাজাভুজি, ফাস্ট ফুড এড়িয়ে চলতে হবে। রাস্তার কাটা ফল চলবে না। এমনকী যে খাবার ভাল করে রান্না করা হয়নি বা সেদ্ধ হয়নি, সেগুলোও এড়িয়ে চলুন। বাজার থেকে আনা শাকসবজি, ফলমূল ভাল করে ধুয়ে এবং রান্না করে খাওয়ান।
৩) ভিজে জামাকাপড় ও জুতো থেকে ফাঙ্গাল ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। তাই সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে ভিজে জামাকাপড় ও জুতো বাড়ির বাইরে রাখুন। আর রাস্তা থেকে বাড়ি ফিরে অবশ্যই ভাল করে হাত-পা ধুতে বলুন। এছাড়া খাবার খাওয়ার আগে সবসময় ভাল করে হাত ধুতে হবে।
৪) বাচ্চা যদি খেলাধুলো করে, বুঝবেন তার শরীর ঠিক আছে। শরীরচর্চা, খেলাধুলো করলে শরীর ঠিক থাকবে। বর্ষায় যেহেতু ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়ার ঝুঁকি বাড়ে, তাই মশারি খাঁটিয়ে ঘুমোন। এছাড়া বাচ্চাকে ফুলহাতা জামা ও প্যান্ট পরিয়ে স্কুলে পাঠান। আর সঙ্গে রাখুন রেইনকোট ও ছাতা।
৫) বাচ্চার ডায়েটে স্বাস্থ্যকর খাবার রাখুন। পাশাপাশি তুলসি, দারুচিনি, আদা এবং অন্যান্য মশলা ও ভেষজ উপাদান রাখুন। এগুলো আপনার সন্তানের মধ্যে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করবে। আর যদি সতর্কতা অবলম্বন করার পরও জ্বর-সর্দি বা ডায়ারিয়া লক্ষণ দেখা দেয়, তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।