
অধিকাংশ রোগ সমস্যার নেপথ্যে থাকে শরীরে পুষ্টির আভাব। আর তাই ঠিকমতো খাওয়া দাওয়া না করলে সেখান থেকে অনেক রকম সমস্যায় পড়তে হয়। খাদ্যাভ্যাস সকলের সমান নয়। কেউ মশলাদার খাবার বেশি খেতে পছন্দ করেন তো আবার কেউ এমনই ডায়েট করে খাবার খান যে সেখান থেকে শরীরে একাধিক পুষ্টির ঘাটতি থেকে যায়। শরীরের জন্য যেমন প্রোটিনের প্রয়োজন আছে ঠিক তেমনই ফ্যাট, কার্বোহাইড্রেটও অল্প মাত্রায় প্রয়োজনীয়। শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হল ভিটামিন ডি ও মিনারেল। আজকাল পরীক্ষা করে দেখা যাচ্ছে অনেকেরই শরীরে ভিটামিনের অভাবজনিত সমস্যা হচ্ছে। শরীরের জন্য ভিটামিন বি ১২, ভিটামিন ডি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আবার শরীরের জন্য ফাইবারও প্রয়োজন আছে। এই ফাইবার আমাদের অনেকক্ষণ পর্যন্ত পেট ভরিয়ে রাখতে সাহায্য করে। পেট এবং অন্ত্র সুরক্ষিত রাখতেও ভূমিকা রয়েছে ফাইবারের। রোজকার ডায়েটে ফাইবার থাকলে ১০০ বছর পর্যন্ত কোনও রকম চিন্তা করতে হবে না। একই সঙ্গে হার্ট ভাল থাকবে। মনও কিন্তু ভাল থাকবে
ফলের মধ্যে খুবই ভাল হল ন্যাশপাতি। সারা বছর পাওয়া গেলেও বছরের এই সময়ে প্রচুর পরিমাণ ন্যাশপাতি পাওয়া যায়। ১০০ গ্রাম ন্যাশপাতি থেকে ৩.১ গ্রাম ফাইবার পাওয়া যায়। কোলেস্টেরল কমাতে এই ন্যাশপাতির কোনও তুলনা নেই, ব্রেন স্ট্রোক আর হার্ট অ্যাটাক ঠেকাতেও তা সাহায্য করে
স্ট্রবেরির মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি। এছাড়াও থাকে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার যা আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। যে কোনও রকম ভাইরাল ইনফেকশন থেকে, ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন থেকে বাঁচতে সাহায্য করে স্ট্রবেরি
ওটসের মধ্যে ফাইবার, ভিটামিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। ব্রেকফাস্টে ওটস নিয়ম করে খেলে ওজন কমবেই। ওটস হজম হতেও কোনও রকম সমস্যা হয় না। আর তাই ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্যেও খুব কার্যকর হল ওটস
ডালের মধ্যেও থাকে অনেকটা পরিমাণ প্রোটিন আর পুষ্টি। সপ্তাহে ৪-৫ দিন ডাল খেতেই হবে। এতে হজমশক্তি আর বিপাক ক্রিয়া দুই বাড়ে। সেই সঙ্গে রোজ ফল, ডাল, বাদাম এসবও খান। এর মধ্যে ফাইবার, ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। যা শরীর ভাল রাখে