
লিউকোরিয়া অর্থাৎ সাদা স্রাবের সমস্যায় অনেক মেয়েই ভোগেন। মহিলাদের ক্ষেত্রে খুবই সাধারণ সম্যা। অনেকে আবার হলুদ বা সবুজ স্রাবের সমস্যাতেও ভোগেন। যদিও এই সমস্যাকে অবহেলা করা ঠিক নয়। সাদা স্রাব স্বাভাবিক হতে পারে আবার কোনও সংক্রমণ থেকেও হতে পারে এই সাদা স্রাব। সাদা যোনি স্রাব বা White Discharge এর একাধিক কারণ থাকতে পারে। মেয়েদের মাসিক শুরু হওয়ার আগে এই সাদা স্রাব হতে পারে। পিরিয়ডের আগে এবং পরে প্রতি মাসে যদি এটি ঘটে তবে এটি স্বাভাবিক হিসাবে বিবেচিত হয়। যদি এর সঙ্গে যুক্ত কোনও সমস্যা না থাকে। হরমোনের পরিবর্তন বা যোনি সংক্রমণের কারণ হরমোনের পরিবর্তনের জন্যও হতে পারে। অনেক সময় এই স্রাবের রং পরিবর্তন হয় এবং সেখান থেকে তীব্র গন্ধও হতে পারে।
বেশিরভাগ মহিলার পিরিয়ড সার্কেলের সময় অনেক ধরনের সাদা স্রাব হয়। সাধারণত, দিনে এক চা চামচের চারপাশে পরিষ্কার সাদা স্রাব থাকে। এটি ঘন বা পাতলা হতে পারে। যদি এর রং সাদা হয় এবং তাতে কোনো গন্ধ না আসে, তাহলে এটাই স্বাভাবিক। কখনও কখনও এটি হালকা হলুদ রঙেরও হতে পারে।
সাদা স্রাবের কারণ কি
সাদা স্রাব পিরিয়ড শুরুর ঠিক আগে হয় হরমোনের পরিবর্তনের কারণে। সাদা স্রাব ঠিক থাকলে সমস্যা নেই, তবে অনেক সময় সংক্রমণের কারণেও হয়। এই সময়ে এটি পরিমাণে বেশি এবং দুর্গন্ধযুক্ত হতে পারে। এর কারণে মেয়েদের যোনিপথে চুলকানি ও জ্বালাপোড়ার সমস্যা হতে পারে। ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের কারণে, এই তরলটির রঙ অস্বাভাবিকভাবে ঘন এবং দুর্গন্ধযুক্ত।
এটি সংক্রমণ বা কোনো বড় রোগের লক্ষণও হতে পারে। মাসিক চক্রের সময় যোনি থেকে ডিওডোরেন্ট, সান্দ্র, পাতলা এবং জলযুক্ত স্রাব স্বাভাবিক বলে মনে করা হয়।
তবে এই সাদা স্রাবের প্রধান কারণ গুলি হল গোপনাঙ্গ পরিষ্কার না রাখা, কপার টি-এর ব্যবহার, রক্তাল্পতার সমস্যা হলে, অতিরিক্ত মশলাদার খাবার খেলে, ডায়াবেটিস থাকলে, রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা একেবারে কম হলে, প্রস্রাবে সংক্রমণ হলে, সময়মতো খাবার না খেলে বা বেশিক্ষণ খালিপেটে থাকলেও এই সমস্যা হতে পারে।
এই লিউকোরিয়ার সমস্যা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ অবশ্যই নেবেন। সেই সঙ্গে এর সবচেয়ে ভাল ঘরোয়া প্রতিকার হল কলা। রোজ নিয়ম করে চিনি দিয়ে কলা খেলে লাভ হবে। এছাড়াও একগ্লাস দুধে হাফ চামচ ঘি, কলা মিশিয়ে খেলেও উপকার হবে। সপ্তাহে অন্তত একদিন খাবেনই।
ডুমুরও খুব ভাল কাজ করে এক্ষেত্রে। খেতে পারেন ডুমুরের তরকারি। নইলে খালিপেটে সকালে ডুমুর ভেজানো জল খান। এতেও অনেক উপকার হবে।
রোজ সকালে মেথি বীজ ভেজানো জল খান একগ্লাস করে। এক লিটার জলে বড় তিন চামচ মেথি বীজ ফুটিয়ে রাখুন। এবার তা সারাদিন ধরে খান ছেঁকে নিয়ে। এতেও কিন্তু কাজ হবে।
খুব বেশি সমস্যা হলে রোজ খালি পেটে ধনে ভেজানো জল খান। একগ্লাস জলে দু চামচ ধনে ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন সকালে সেই ধনে ফোটানো জল ছেঁকে নিয়ে খান। এতেও অনেক কাজ হবে।