Irritable Bowel Syndrome: আইবিএস-এর সমস্যায় ভুগছেন? ৫ উপায়ে কন্ট্রোলে আনুন এই অসুখ!

TV9 Bangla Digital | Edited By: দীপ্তা দাস

Apr 04, 2022 | 7:41 AM

IBS management tips: আইবিএস আক্রান্ত ব্যক্তি ‘ফোডম্যাপ’ খাদ্যে মারাত্মক সংবেদনশীল হন!ফলে আইবিএস আক্রান্ত ব্যক্তি কম ফোডম্যাপযুক্ত খাদ্য খেলে উল্লেখযোগ্যভাবে তার উপসর্গ হ্রাস পেতে থাকে।

Irritable Bowel Syndrome: আইবিএস-এর সমস্যায় ভুগছেন? ৫ উপায়ে কন্ট্রোলে আনুন এই অসুখ!

Follow Us

ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম (Irritable Bowel Syndrome) হল অন্যতম পরিচিত হজম সংক্রান্ত সমস্যা। ডায়ারিয়া, পেটে ক্র্যাম্প, কোষ্ঠকাঠিন্য, গ্যাস, পেট ফাঁপার একটানা সমস্যা ও তজ্জনিত কারণে ক্লান্তি, অনিদ্রা নিয়ে এই রোগ হাজির হয়।

উপসর্গগুলি মাঝারি থেকে তীব্র ধরনের হতে পারে। জানা গিয়েছে, রোগের নানা ধরনের লক্ষণ বহু ব্যক্তির রোজকার জীবন দুর্বিষহ করে তোলে। খাড়া করে নানা প্রতিবন্ধকতা। তবে জীবনশৈলীতে কিছু পরিবর্তন করলে অনেকাংশেই আইবিএস-এর নানা সমস্যা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়—

‘ফোডম্যাপ’

‘ফার্মেন্টেবল অলিগোস্যাকারাইডস, ডাইস্যাকারাইডস, মনোস্যাকারাইডস এবং পলিওলস (FODMAP বা ফোডম্যাপ)’-এর নাম নিশ্চয় আগে শোনেননি? অথচ আপনি এই ধরনের খাদ্য প্রতিদিন গ্রহণ করেন। ‘ফোডম্যাপ’ হল শর্ট চেইন কার্বোহাইড্রেট (সংক্ষিপ্ত শৃঙ্খলের শর্করা) যা সঠিকভাবে হজম না হলে আপনার বৃহদন্ত্রে গেঁজে ওঠে। বীনস, ডাঁটা, ফুলকপি হল এমনই সব খাদ্য যা ফোডম্যাপ-এর অন্তর্গত।

বৃহদন্ত্রের অপাচিত খাদ্যকে যখন ব্যাকটেরিয়া ভাঙতে শুরু করে, তখন তা গেঁজে ওঠে ও পেট ব্যথা, পেট ফাঁপা, গ্যাস, পেট ফুলে ওঠার মতো সমস্যা তৈরি হয়। আইবিএস আক্রান্ত ব্যক্তি ‘ফোডম্যাপ’ খাদ্যে মারাত্মক সংবেদনশীল হন!ফলে আইবিএস আক্রান্ত ব্যক্তি কম ফোডম্যাপযুক্ত খাদ্য খেলে উল্লেখযোগ্যভাবে তার উপসর্গ হ্রাস পেতে থাকে। বিশেষ করে পেট ব্যথা, পেট ফাঁপার মতো সমস্যা ‘লো ফোডম্যাপ’ ডায়েট দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। তবে চাইলেই তো এভাবে সব খাদ্য একেবারে বন্ধ করা সম্ভব নয়। দু’টি ধাপে ফোডম্যাপ-এর অন্তর্গত খাদ্য গ্রহণ করার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়—

ক) প্রথম ধাপে ফোডম্যাপের অন্তর্গত খাদ্যগুলি সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করা হয়।

খ) দ্বিতীয় ধাপে ধীরে ধীরে অল্প অল্প মাত্রায় রোগীকে খাদ্যগুলি দিয়ে দেখা হয় সে কতটা পরিমাণে খাদ্য সহ্য করতে পারছে।

যোগা

প্রতিদিন অফিস থেকে ঘর, ঘর থেকে অফিস, গৃহকর্ম, বাচ্চাদের পরিচর্যার মতো কাজ করতে করতে এক ধরনের একঘেয়েমি গ্রাস করে আমাদের। একঘেয়েমি থেকে উদ্বেগের শিকার হন বহু মানুষই। অর্থ সংক্রান্ত উদ্বেগ তো প্রত্যেক মানুষকেই আচ্ছন্ন রাখে আজকাল। একটানা উদ্বেগ নিশ্চিতভাবে আইবিএস-এর সমস্যায় ইন্ধন জোগায়। স্ট্রেস বাড়লে আইবিএস-এর উপসর্গ বাড়ে। তাই স্ট্রেস কমাতেই হবে। কারণ শরীর ও মন পরষ্পর যুক্ত। এ শুধু কথার কথা নয়। সত্যিসত্যিই দেহের কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের সঙ্গে হজমতন্ত্রের যোগ রয়েছে। ফলে স্নায়ুর উদ্দীপনা নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে আইবিএস রোগটিকেও কন্ট্রোলে আনা সম্ভব। স্ট্রেস কমাতে যোগা অত্যন্ত কার্যকরী পদ্ধতি।

প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়রে জন্য যোগা করলে আইবিএস কন্ট্রোলে আনা সহজ হয় বলে বিভিন্ন সমীক্ষায় প্রকাশ পেয়েছে। টেনশন বৃদ্ধির ফলে একটি হর্মোন শরীরে ক্ষরিত হয় যার নাম কর্টিসল। এই হর্মোন শরীরের পক্ষে মোটেই ভালো নয়। যোগা করলে কর্টিসল হর্মোন ক্ষরণও নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।

অ্যালকোহল, কফি, তামাক ত্যাগ করুন

অ্যালকোহল, কফি, তামাকজাতীয় পদার্থের সেবন আইবিএস-এর সমস্যা ভয়ঙ্কররকমভাবে বাড়িয়ে তোলে। অতএব ধূমপান সহ যে কোনও ধরনের তামাক সেবনের অভ্যেস থাকলে এখনই ত্যাগ করুন। ত্যাগ করুন কফি পানের অভ্যেস কারণ কফি আমাদের স্নায়ুকে মারাত্মকভাবে উত্তেজিত করে। স্নায়ুতন্ত্রে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে অ্যালকোহলও। আইবিএস এবং নার্ভের ওতপ্রোত যোগাযোগ কারও অজানা নয়। তাই আসক্তি থাকলে ধীরে ধীরে এই ধরনের পানীয় সেবন ত্যাগ করুন। অসংখ্য রোগী জানিয়েছেন, এই ধরনের পানীয় সেবন বন্ধ করে তাঁরা অনেক ভালো আছেন।

ফুড ডায়েরি

আইবিএস-এর উপসর্গ ব্যক্তিবিশেষে ভিন্ন হয়। অর্থাৎ এক আইবিএস-এর রোগীর যে খাদ্যে গণ্ডগোল হয়, সেই একই খাদ্যে আবার অন্য আইবিএস রোগীর গণ্ডগোল নাও হতে পারে। তাই আইবিএস রোগীরা একটি ডায়েরি রাখুন হাতের কাছে। প্রতিদিন কী খাচ্ছেন তা লিখে রাখুন। কোনও কোনও দিন সমস্যা হচ্ছে তাও লিখে রাখুন। ফলে কোন ধরনের খাদ্য খেলে রোগীর সমস্যা হচ্ছে তা সহজেই ধরা যাবে।

উপকারী শরীরচর্চা

এক সমীক্ষায় বহু রোগী জানিয়েছেন, নিয়মিত এক্সারসাইজ করার পর তাঁদের পেটফাঁপার সমস্যা অনেকাংশে হ্রাস পেয়েছে। এমনকী প্রতিদিন ৩০ মিনিট হনহন করে হাঁটলেও অত্যন্ত উপকার মেলে বলে জানা যাচ্ছে। এইভাবে সপ্তাহে অন্তত ১৫০ মিনিট হাঁটলে তা শরীরের পক্ষে অত্যন্ত উপকারী প্রমাণিত হয়।

আরও পড়ুন: Pet care tips: খুলে গিয়েছে স্কুল-অফিস! বাড়িতে পোষ্যের যত্ন ও মানসিক সমস্যা মেটাবেন কীভাবে?

 

Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।

Next Article