বর্ষাকালে গরম চা কিংবা কফি খাওয়ার মজাটাই আলাদা। যদিও এক্ষেত্রে চায়ের পাল্লা ভারী। এই সময় আদা দিয়ে চা খেতে ভাল লাগে আর শরীরের জন্যেও তা অবশ্য ভাল। জানলা দিয়ে বৃষ্টি দেখতে কার না ভাল লাগে। তবে এই বৃষ্টি দেখতে দেখতে কাপের পর কাপ চা খাবেন না। কারণ অতিরিক্ত চা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্যে একেবারেই ভাল নয়। কোনও খাবারের উপরই অতিরিক্ত আসক্তি ঠিক নয়। অতিরিক্ত মদ্যপান যেমন শরীরের জন্য খারাপ তেমনই মাত্রাতিরিক্ত বিরিয়ানি খেলেও সেখান থেকে হতে পারে সমস্যা। আবার অত্যধিক চায়ের নেশাও শরীরের জন্য ক্ষতিকারক। শুধু চা খাওয়া নয়, চা বানানোর ক্ষেত্রে কিছু ভুলও আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতি করে। অতিরিক্ত চা খেলে পাকস্থলী আর অন্ত্রেরও খুব ক্ষতি হয়। আর তাই এই বর্ষায় খেতে ইচ্ছে করলেও ঘন ঘন খাওয়া ঠিক নয়। আর তাই এই বর্ষায় চা খাওয়ার সময় যে সব নিয়ম অবশ্যই মেনে চলবেন-
খুব বেশি চা নয়- চায়ের মধ্যে ট্যানিন থাকে। যা অতিরিক্ত খেলে শরীরে আয়রন শোষণ ক্ষমতা কমে যায়। আর চায়ের মধ্যে যে ক্যাফিন থাকে তা শরীর থেকে অতিরিক্ত জল বেরিয়ে যায়। আর তাই দিনে দু কাপের বেশি চা একেবারেই নয়।
খালি পেটে চা নয়। এতে অ্যাসিডিটির সম্ভাবনা বাড়ে। মশলা চা অনেকেই পছন্দ করেন। আদা, লবঙ্গ, দারুচিনি, এলাচ, তেজপাতা, জায়ফল দিয়ে তৈরি এই চা শরীরের জন্য ভাল। কোভিডের সময় এই চা প্রচুর মানুষ খেয়েছেন। তবে এই মশলা চা একেবারেই বেশি খাওয়া ঠিক নয়। কারণ এতে শরীর গরম হয়ে যায়।
খালি পেটে চা খেলে মেটাবলিজম একদম কমে যায়। এর ফলে বদহজম, কোষ্ঠকাঠিন্য, পেট ফোলা একাধিক সমস্যা হতে পারে। খিদে মারতে কাপের পর কাপ চা খাবেন না। দিনের শুরুতে কোনও একটা ডিটক্স ওয়াটার খেয়ে তবেই চা খান। চায়ের সঙ্গে একটা বিস্কুট হলেও খাবেন।
চা পাতা একদম বেশি ফোটাবেন না। এতে চায়ের মধ্যে ক্যাফিনের পরিমাণ বাড়ে। আর এরকম বারে বারে ফোটানো চা পাতা শরীরের জন্যেও ভাল নয়। জল খুব ভাল করে গরম করে ওর মধ্যে চা-পাতা দিয়ে ভিজিয়ে রাখুন। এতে ভাল লিকার পাবেন।
কোনও খাবার খাওয়ার পর পরই চা নয়। এতে শরীরে ট্যানিনের পরিমাণ বাড়ে, সঙ্গে আয়রণ শোষণও বাধা পায়। তাই যদি কোনও খাবার খাওয়ার পর হজমের জন্য চা খেতে চান তাহলে অন্তত ১ ঘন্টা পর খাবেন। নইলে কোনও কাজের কাজ হবে না।