Late Periods: অন্তঃসত্ত্বা নন, তবুও কেন সময়মতো পিরিয়ডে হল না?

Women Health: ২৮ দিনের ব্যবধানে ঋতুস্রাব না হলে, আপনি অন্তঃসত্ত্বা এমন ভেবে নেওয়ার কোনও কারণ নেই। ঋতুস্রাব দেরিতে হওয়া বা না হওয়ার পিছনে একাধিক কারণ দায়ী থাকতে পারে। তাই প্রেগন্যান্সি টেস্ট করার আগে সেই কারণগুলো জেনে নেওয়া দরকার।

Late Periods: অন্তঃসত্ত্বা নন, তবুও কেন সময়মতো পিরিয়ডে হল না?

| Edited By: megha

Nov 25, 2023 | 9:00 AM

এক সপ্তাহ হয়ে গিয়েছে সময়মতো ঋতুস্রাব হয়নি? অন্তঃসত্ত্বা ভেবে প্রেগন্যান্সি টেস্টও করিয়েছেন। কিন্তু ফল নেগেটিভ এসেছে। ২৮ দিনের ব্যবধানে ঋতুস্রাব না হলে, আপনি অন্তঃসত্ত্বা এমন ভেবে নেওয়ার কোনও কারণ নেই। ঋতুস্রাব দেরিতে হওয়া বা না হওয়ার পিছনে একাধিক কারণ দায়ী থাকতে পারে। তাই প্রেগন্যান্সি টেস্ট করার আগে সেই কারণগুলো জেনে নেওয়া দরকার। অনেক সময় শরীরে কোনও রোগ বাসা বাঁধলেও পিরিয়ড নিয়মিত হয় না।

পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম: আজকাল ৮০% মহিলা পিসিওডি ও পিসিওএস-এর সমস্যায় ভুগছে। হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণে ঋতুস্রাব সময়মতো নাও হতে পারে। নির্দিষ্ট সময় অন্তর ঋতুস্রাব না হলে একবার পিসিওডি পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া দরকার। এটি পিসিওডি ও পিসিওএস-এর সাধারণ উপসর্গ। পাশাপাশি মুখে লোমের আধ্যিক বেড়ে যাওয়া এবং ওজন বেড়ে যাওয়ার মতো উপসর্গও দেখা দেয়।

থাইরয়েড: পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের মধ্যে থাইরয়েডের সমস্যা বেশি। মূলত হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণেই থাইরয়েডে সমস্যা দেখা দেয়। এটি ঋতুচক্রের উপরও প্রভাব ফেলে। প্রজনন বয়সকালে যেসব মহিলা থাইরয়েডের সমস্যায় ভোগেন, তাঁদের মধ্যে অনিয়মিত ঋতুস্রাবের সমস্যা দেখা দেয়।

মানসিক চাপ: পিসিওডি-এর সমস্যা নেই। থাইরয়েডের মাত্রাও ঠিকঠাক রয়েছে। তাতেও সময়মতো ঋতুস্রাব হচ্ছে না? এর পিছনে শারীরিক নয়, আপনার মানসিক অবস্থা দায়ী হতে পারে। কাজের চাপ, সংসারে অশান্তি, ব্যক্তিগত জীবনে চাপ মানসিক চাপ বাড়িয়ে তোলে। অনেক সময় মানসিক চাপের কারণেও সময়মতো পিরিয়ড হয় না। আবার মানসিক চাপ থেকে অনিদ্রার সমস্যাও বাড়ে। এটাও অনিয়মিত ঋতুস্রাবের কারণ হতে পারে।

অতিরিক্ত ওজন: দেহের অতিরিক্ত ওজন একাধিক রোগ ডেকে আনতে পারে। মাত্রাতিরিক্ত ওজন অনিয়মিত ঋতুস্রাবের সমস্যা বাড়িয়ে তোলে। পাশাপাশি স্থূলতা ডায়াবেটিস, রক্তচাপের মতো একাধিক রোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এতেও প্রভাব পড়ে ঋতুচক্রের উপর।

অতিরিক্ত শরীরচর্চা: সঠিক সময়ে যাতে ঋতুস্রাব হয় তার জন্য শরীরচর্চা জরুরি। এমনকি নিয়মিত শরীরচর্চা করলে ডিসমেনোরিয়ার লক্ষণগুলোও প্রতিরোধ করা যায়। কিন্তু মাত্রাতিরিক্ত শরীরচর্চা শরীরের জন্য ক্ষতিকারক। অতিরিক্ত মাত্রায় শরীরচর্চা করলে দেহে ইস্ট্রোজেনের মাত্রা কমে যেতে পারে। যে কারণে সময়মতো ঋতুস্রাব নাও হতে পারে।