
শীতকাতুরে বাঙালির শীতকাল যতই প্রিয় হোক না কেন শীত পড়লেই জাঁকিয়ে বসে একাধিক সমস্যা। হাঁপানি, শ্বাস নিতে কষ্ট, ঠান্ডা লাগা, সর্দি. গ্যাস-বদহজমের পাশাপাশি আরও অনেক রকম সমস্যা থেকে যায়

এবার মুঠো মুঠো অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া শরীরের জন্য মেটোই কাজের কথা নয়। প্রয়োজন হলে খেতেই হবে। আর এই অ্যান্টিবায়োটিক খেলে বেশি পরিমাণে জল খেতে হবে। শীতে এমনিই জল কম খাওয়া হয়, তাই আরও বেশি করে সাবধানে থাকতে হবে

রোগজ্বালার অধিকাংশ কারণই হল আমাদের জীবনযাত্রা। রোজের জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনতে পারলে অনেক রকম সমস্যা থেকে দূরে থাকা যায়। বাঙালির হেঁশেলে প্রচুর মশলা থাকে আর সেই তাকে একটা ঘিয়ের কৌটো থাকেই

প্রাচীন কাল থেকে সুস্থ থাকতে ঘি খাওয়া চল রয়েছে। আয়ুর্বেদ শাস্ত্রেও এই ঘি-এর প্রভূত ব্যবহার রয়েছে। গরম ভাতে ঘি মেখে খেতে দারুণ লাগে। আগেকার দিনে তেল, ডালডার এত ব্যবহার ছিল না। যাবতীয় খাবার ঘি থেকেই প্রস্তুত করা হয়, এতে স্বাদও অনেক ভাল হয়

ঘি হল সুপারফুড, রোজ একটু করে ঘি খেলে শরীর ভাল থাকে। শীতের দিনে একটু একটু খেলে ঠান্ডা লাগার কোনও ভয় থাকে না। দোকানের কেনা ঘিয়ের মধ্যে অনেক রকম ভেজাল থাকে, তাই বাড়িতে ঘি বানিয়ে নিতে পারলেই সবচাইতে ভাল

অনেকেরই ধারণা ঘি খেলে ওজন বাড়বে, যার আদতে কোনও রকম ভিত্তি নেই। বরং ঘি খেলে শরীর ভাল থাকে। ঘি-মধ্যে থাকা স্বাস্থ্যকর ফ্যাটের কারণে পেট ভর্তি থাকে ফলে সব সময় মুখ চালানো বা টুকটাক খাওয়ার প্রবণতা কমে। ফলে অতিরিক্ত খাওয়ার ভয়ও থাকে না ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকে

অনেকেই বলে ঘি হজম করা কঠিন। যে কারণে ঘি দিয়ে তৈরি খাবারও অনেকে খেতে চান না। রোজ এক চামচ করে ঘি পাচনতন্ত্রের জন্য ভাল। যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা রয়েছে তাঁরা রোজ ঘি খান, পেট ফুলে থাকা, গ্যাসের সমস্যা দূর করতেও কাজে আসে এই ঘি

ঘি-এর মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। যা আমাদের এনার্জি বাড়ায়, শরীরে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়ায়। হাড় বা জয়েন্টের ব্যথাতেও কার্যকরী ঘি। শীতের দিনে এই সব ব্যথা বাড়ে। তারা যদি সকালে খালিপেটে গরম জলে এক চামচ ঘি খান তাহলে অনেক বেশি উপকার পাবেন