Vitamin B12: প্রোটিন, ক্যালশিয়ামের মতোই অপরিহার্য ভিটামিন বি-১২, না খেলে…?
Side Effects Of Vitamin B12 Deficiency: ভিটামিন বি১২ এর ঘাটতি মেটাতে ঠিকমতো খাওয়া দাওয়া করতে হবে। সব সময় ওষুধের ভরসায় থাকলে চলবে না। নিরামিষাশীরা কী কী খাবেন যদি শরীরে ভিটামিন বি১২ এর ঘাটতি হয়? যাঁদের অন্ত্রের কোনও সমস্যা রয়েছে তাঁদের মধ্যে এই ভিটামিনের ঘাটতি থেকেই যায়

শরীর সুস্থ রাখতে যেমন প্রোটিন, ক্যাশিয়ামের প্রয়োজন রয়েছে তেমনই প্রয়োজন আছে বি ১২-এর। আমাদের শরীরের জন্য অপরিহার্য ভিটামিন হল এই B12। এই ভিটামিন শরীরে অনেকগুলো কাজ একসঙ্গে করে থাকে। ডিএনএ গঠন থেকে শুরু করে লোহিত রক্তকণিকা উৎপাদনে সাহায্য করে এই ভিটামিন। প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে প্রতিদিন অন্তত ২.৪ মাইক্রোগ্রাম করে ভিটামিন বি ১২ এর প্রয়োজন আছে। গর্ভবতী মহিলাদের ২.৬ মাইক্রোগ্রাম, আর যেসব মা রোজ বাচ্চাকে স্তন্যপান করান তাঁদের জন্য ২.৮ মাইক্রোগ্রাম করে প্রয়োজন রয়েছে এই ভিটামিন বি১২ এর।
শরীরে যদি এই ভিটামিনের অভাব হয় তাহলে দুর্বলতা, ক্লান্তি, মাথাঘোরা, হৃৎপিন্ড ধড়়ফড় করা, শ্বাসকষ্ট, ত্বক বিবর্ণ হয়ে যাওয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য, খিদে কমে যাওয়া, গ্যাস হওয়া, কাঁপুনি, স্নায়ুর সমস্যা, দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়া একাধিক সমস্যা আসতে পারে। তবে যাঁরা গ্যাস্ট্রাইটিস ও রক্তাল্পতায় ভুগছেন তাঁদের শরীরে ভিটামিন বি ১২ শোষণ অনেক বেশি কঠিন হয়ে পড়ে।
ভিটামিন বি১২ এর ঘাটতি মেটাতে ঠিকমতো খাওয়া দাওয়া করতে হবে। সব সময় ওষুধের ভরসায় থাকলে চলবে না। নিরামিষাশীরা কী কী খাবেন যদি শরীরে ভিটামিন বি১২ এর ঘাটতি হয়? যাঁদের অন্ত্রের কোনও সমস্যা রয়েছে তাঁদের মধ্যে এই ভিটামিনের ঘাটতি থেকেই যায়। আবার যাঁরা সিলিয়াক ডিজিজ, ক্রোনস ডিজিজে ভুগছেন বা ব্যাকটেরিয়ার সংস্পর্শে এসেছেন কোনও ভাবে তাঁদের ক্ষেত্রেও এই একই সমস্যা হতে পারে। আবার খুব বেশি অ্যালকোহল খেলে সেখান থেকেও হতে পারে এই সমস্যা।
কারণ তা শরীরে পুষ্টির ঘাটতি কমিয়ে দেয়, খাওয়া-দাওয়ার দিকে বিশেষ লক্ষও থাকে না। নিয়ম করে মাছ, মাংস, ডিম, দই, পনির, সোয়া মিল্ক এবং বিভিন্ন সিরিয়ালস খান ব্রেকফাস্টে। এছাড়াও প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ খাবার বেশি করে খেতে হবে। যে খাবারই খান না কেন তা মেপে খেতে হবে। খুব বেশি খাবেন না। আর কথায় কথায় মাল্টিভিটামিনও খাবেন না।





