Cancer Prevention: ক্যানসার কোষের যম এই ৭ দুগ্ধজাত খাবার! আজই অন্তর্ভুক্ত করুন ডায়েটে

Cancer Cell: ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে এমনিতে অনেকেই ফল, শাকসবজি থেকে শুরু করে আরও অনেক কিছুর কথা বলেন। কিন্তু আপনি কি জানেন এমন কিছু দুগ্ধজাত খাবার রয়েছে সেই তালিকায় যা ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে বেশ উল্লেখযোগ্য। রইল সেই তালিকা।

Cancer Prevention: ক্যানসার কোষের যম এই ৭ দুগ্ধজাত খাবার! আজই অন্তর্ভুক্ত করুন ডায়েটে

Sep 05, 2025 | 2:11 PM

সারা বিশ্বের যে যে রোগের কারণে মানুষের মৃত্যু হয় তার মধ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম কারণ হল ক্যানসার। এর মধ্যে সবচেয়ে ভয়ানক ফুসফুসের ক্যানসার বা লাং ক্যানসার। পরিসংখ্যান বলছে ২০২২ সালে বিশ্বজুড়ে প্রায় ৯.৭ মিলিয়ন মানুষের মৃত্যু হয়েছে ক্যানসারের কারণে। কিছু নির্দিষ্ট খাবার রয়েছে, যা ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে।

ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে এমনিতে অনেকেই ফল, শাকসবজি থেকে শুরু করে আরও অনেক কিছুর কথা বলেন। কিন্তু আপনি কি জানেন এমন কিছু দুগ্ধজাত খাবার রয়েছে সেই তালিকায় যা ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে বেশ উল্লেখযোগ্য। রইল সেই তালিকা।

১. দই – অন্ত্রের স্বাস্থ্য এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য প্রোবায়োটিকস প্রয়োজন। দই প্রোবায়োটিকে সমৃদ্ধ, যা অন্ত্রে উপকারী ব্যাকটেরিয়ার ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। একটি সুস্থ অন্ত্র ভালো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও হজমের সঙ্গে যুক্ত। বিশেষ করে কোলন ক্যানসারের মতো ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এই দই।

২. ছাঁচ – শরীর ঠান্ডা করতে, ডিটক্সিফাই করতে এবং প্রদাহ কমাতে বেশ উল্লেখযোগ্য এই ছাঁচ। ছাঁচ ভারতীয় সংস্কৃতিতে বিশেষ ভাবে পরিচিত এই পানীয়। এতে চর্বির পরিমাণ কম থাকে। প্রোবায়োটিকস, ক্যালসিয়াম ও ভিটামিনে ঠাসা। ছাঁচের শীতলতা হজমে সহায়ক, শরীরকে ডিটক্সিফাই করে। প্রদাহ কমাতেও সাহায্য করে, ক্যানসার সৃষ্টিকারী টক্সিন থেকে শরীরকে রক্ষা করতে পারে।

৩. পনির – প্রোটিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। পনির প্রোটিনে ভরপুর এবং এতে ক্যালসিয়াম ও সেলেনিয়াম রয়েছে। সেলেনিয়াম একটি পরিচিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা কোষকে অক্সিডেটিভ ক্ষতি থেকে রক্ষা করে, ফলে ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

৪. ঘি – সিএলএ ও পুষ্টি শোষণ করতে অত্যন্ত কার্যকর। পরিমিত মাত্রায় ঘি খেলে শরীর কনজুগেটেড লিনোলিক অ্যাসিড (CLA) পায়, যা কিছু গবেষণা অনুযায়ী অ্যান্টি-কারসিনোজেনিক বা ক্যানসার প্রতিরোধী গুণাবলি সম্পন্ন। ঘি দেহে পুষ্টি শোষণও বাড়িয়ে তোলে, ফলে ক্যানসার প্রতিরোধী ভিটামিন ও খনিজ থেকে শরীর সর্বাধিক উপকার পেতে পারে।

৫. দুধ – ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি ও ক্যানসার সুরক্ষা দেয়। দুধ হল প্রাকৃতিক ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি-র উৎস, যা হাড়ের স্বাস্থ্য ও ক্যানসার প্রতিরোধে, বিশেষ করে কোলোরেক্টাল ক্যান্সারে, গুরুত্বপূর্ণ। পরিমিত পরিমাণে গরুর দুধ খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে, শরীরের সামগ্রিক সুস্থতা বজায় রাখতে উপযোগী।