
হজম, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, মেজাজ এবং বিপাকক্রিয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত আপনার গাট হেলথ বা অন্ত্রের স্বাস্থ্য। এমন কিছু প্রাকৃতিক মশলা এবং ভেষজ উপাদান রয়েছে, যা আপনার অন্ত্রের জন্য বেশ উপকারী। সেসব উপাদান সহজেই খাদ্যতালিকায় যোগ করা যায়। ঋতু পরিবর্তনের সময় অন্ত্রের যত্ন নিতে খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনযাপনে কিছু পরিবর্তন জরুরি। কোন ৭ মশলা আপনার অন্ত্রের জন্য ভাল?
১. হলুদ – গাট হেলথের জন্য হলুদ অসাধারণ উপাদান। এতে থাকা সক্রিয় উপাদান ‘কারকিউমিন’ অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুণে সমৃদ্ধ। গোলমরিচের সঙ্গে খেলে আরও ভাল। হলুদ অন্ত্রের মাইক্রোবায়াল ব্যালান্স রক্ষা করে এবং আইবিএস (Irritable Bowel Syndrome) ও আইবিডি (Inflammatory Bowel Disease)-এর মতো সমস্যা কমাতে সাহায্য করে।
২. আদা – বমিভাব কমানো এবং পেট মুচড়ানোর মতো সমস্যা উপশমে আদা খুবই কার্যকর। এটি হজমে সাহায্য করে এবং অন্ত্রের প্রদাহ কমায়। আয়ুর্বেদিক চায়ে বা রান্নায় আদা ব্যবহৃত হয় পেটের অস্বস্তি দূর করতে।
৩. মৌরি – ভারতীয় খাদ্যতালিকায় মৌরি বহুদিন ধরেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এর মধ্যে আছে অ্যান্টিস্পাসমোডিক এবং কারমিনেটিভ গুণ। মৌরি অন্ত্রের পেশিগুলি শিথিল করে, ফাঁপা ভাব ও গ্যাস কমায়, এবং হজম প্রক্রিয়া আরও সহজ করে তোলে। খাবারের পরে মৌরি চিবিয়ে খাওয়া বা মৌরির চা তৈরি করে খাওয়া দুটোই উপকারী।
৪. জিরে – ভারতীয় রান্না জিরে ছাড়া ভাবাই যায় না! জিরে পিত্তরস নিঃসরণ বাড়ায় এবং হজমে সহায়তা করে। এটি পেট ফাঁপাভাব কমায় ও পুষ্টির শোষণ উন্নত করে। পাশাপাশি, এটি আয়রনের একটি ভাল উৎস।
৫. ধনে – ধনে গাছের বীজ ও পাতা—দু’টিই হজমের পক্ষে উপকারী। এটি প্রদাহ কমায়, লিভার ও গাট হেলথে সহায়তা করে। মৃদু হলেও এটি অত্যন্ত কার্যকরী একটি ভেষজ।
৬. জোয়ান – আয়ুর্বেদ মতে জোয়ান গ্যাস ও ফাঁপাভাব উপশমে খুবই শক্তিশালী। এটি খাবারের পরে বা রান্নায় যোগ করে খেলে হজমজনিত সমস্যা কমাতে সাহায্য করে।
৭. গোলমরিচ – গোলমরিচ খাবারে ঝাল যোগ করার পাশাপাশি অন্ত্রের শক্তি বাড়ায়। এতে থাকে ‘পাইপারিন’ নামের উপাদান, যা কারকিউমিনের মতো গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান শোষণে সাহায্য করে। এছাড়াও এটি অন্ত্রে এনজাইমের কার্যকারিতাকে উদ্দীপিত করে।
প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় এই মশলা ও ভেষজ উপাদানগুলি অন্তর্ভুক্ত করলে আপনি সহজেই অন্ত্রকে ভাল রাখতে পারবেন।