Uric Acid: এই সবজির রস খেলেই রক্তে কমবে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা, উপরি পাওনা হিসেবে মিলবে আর্থ্রাইটিস ও কিডনি স্টোনের সমস্যাও

How To Reduce Uric Acid: ইউরিক অ্যাসিড জমতে শুরু করলে প্রথমেই তার লক্ষণ পায়ে দেখা দেয়। পায়ের পাতা ফুলতে শুরু করে

Uric Acid: এই সবজির রস খেলেই রক্তে কমবে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা, উপরি পাওনা হিসেবে মিলবে আর্থ্রাইটিস ও কিডনি স্টোনের সমস্যাও
ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রাখতে যা করবেন

| Edited By: রেশমী প্রামাণিক

Mar 28, 2023 | 9:55 AM

শরীরে ব্যথা কার নেই! হাতে, পায়ে, কোমরে, পিঠে, জয়েন্টের ব্যথা এরকম লেগেই থাকে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে এই ব্যথার নেপথ্যে কিন্তু থাকে মাত্রাছাড়া ইউরিক অ্যাসিড। ইউরিক অ্যাসিড বাড়তে শুরু করলে আর রক্ষে নেই। পায়ে, পেশীতে ক্র্যাম্প ধরে, হাঁটতে অসুবিধে হয়। ইউরিক অ্যাসিড আমাদের শরীরেই থাকে। শরীরের বর্জ্য পদার্থ হল ইউরিক অ্যাসিড। পিউরিন সমৃদ্ধ খাবার হজমের ফলে সেখান থেকে বর্জ্য হিসেবে তৈরি হয় ইউরিক অ্যাসিড। সোজা কথায় প্রোটিন বিপাকের ফলে শরীরে তৈরি হয়ে যায় ইউরিক অ্যাসিড। ইউরিক অ্যাসিড প্রাকৃতিক ভাবেই শরীরের ভিতরে থাকে। এই ইউরিক অ্যাসিড পরিমাণে বেড়ে গেলে তখনই সমস্যা বেশি হয়।

ইউরিক অ্যাসিড জমতে শুরু করলে প্রথমেই তার লক্ষণ পায়ে দেখা দেয়। পায়ের পাতা ফুলতে শুরু করে। আর ইউরিক অ্যাসিড বাড়তে শুরু করলে ডায়াবেটিস, রক্তচাপের মত একাধিক সমস্যা এসে যায়। এই সব কিছুর জন্য কিন্তু দায়ী আমাদের জীবনযাত্রা। অতিরিক্ত চাপ, খাদ্যাভ্যাস, কোনও রকম শরীরচর্চা না করা সেখান থেকেই বাড়ছে এই ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা। ইউরিক অ্যাসিড বাড়তে থাকলে পরবর্তীতে সেখান থেকে কিডনির সমস্যাও আসতে পারে। ইউরিক অ্যাসিডের লক্ষণ শুধুমাত্র পায়ে নয়, দেখা যেতে পারে কানেও। এমনটাই বলছেন চিকিৎসকেরা। ইউরিক অ্যাসিড বাড়লে কিডনি, লিভার আর হার্টেরও ক্ষতি হয়। এছাড়াও ইউরিক অ্যাসিড অতিরিক্ত মাত্রায় বাড়লে সেখান থেকে হাইপারইউরেসেমিয়ার সমস্যা থেকে যায়।

আর তাই রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়লে প্রথমেই খাওয়া-দাওয়াতে পরিবর্তন আনতে হবে। বড় মাছ, রেড মিট, অ্যালকোহল, বিয়ার ব্রকোলি এবং কলা একেবারেই খাওয়া চলবে না। আর তাই যা কিছু খেতে পারবেন

শসা কুরিয়ে নিয়ে জুস বের করে নিন। এবার এর মধ্যে মিশিয়ে নিন সামান্য লেবুর রস। এই লেবু-শসার রস শরীরে ডিটক্সিফিকেশনে সাহায্য করে। যার ফলে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রাও কমে। এছাড়াও এই জুসের মধ্যে থাকে পটাশিয়াম এবং ফসফরাস। যা কিডনি ডিটক্সিফাই করতে কাজে আসে। এছাড়াও কিডনির কার্যকারিতা বাড়াতে এবং শরীর থেকে টক্সিন বের করে দিতে সাহায্য করে শসার রস।

গাজরের রসও রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে কাজে আসে। এছাড়াও গাজরের রসের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন এ, ফাইবার, বিটা ক্যারোটিন এবং মিনারেল। যা রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। গাজরের রসের সঙ্গেও মিশিয়ে নিন সামান্য লেবুর রস। লেবুর রসে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়াবে।

আদা-চাও শরীরের জন্য খুব ভাল। দিনের মধ্যে দুবার আদা দিয়ে চা বানিয়ে খান। আদার অ্যান্টিসেপটিক, অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি গুণের জন্যই আদা এত ভাল। যে কারণে প্রাকৃতিক ভাবে প্রদাহ কমাতেও সাহায্য করে আদা।