Food for Diabetes: কলমি, পালং নয় গ্রাম বাংলার এই শাকেই নিয়ন্ত্রণে থাকে সুগার, বুকে বসবে না সর্দি-কফও…

How to lower blood sugar: বেতো শাকের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন এ, সি, বি৬, আয়রন, ক্যালশিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম। যে কারণে বাচ্চাদের বেতো শাক খাওয়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয় ছোট থেকেই

Food for Diabetes:  কলমি, পালং নয় গ্রাম বাংলার এই শাকেই নিয়ন্ত্রণে থাকে সুগার, বুকে বসবে না সর্দি-কফও...
কেন খাবেন বেতো শাক

| Edited By: রেশমী প্রামাণিক

Dec 14, 2022 | 2:56 PM

শীত মানেই বাজার ছেয়ে যায় নানা রকম সবজিতে। পালং, মূলো, বেগুল, মেথি শাক, গাজর, বিট, বিনস, পেঁয়াজকলি, শিম, টমেটো- লিস্ট যেন আর ফুরোতেই চায় না। শীতের এই সবজি আর ফলই দূরে রাখে একাধিক মরশুমি অসুস্থতা। পালং, সরষে, মেথি , বেতো শাক, মূলো শাক, কপির শাক- শীতে খুবই ভাল লাগে খেতে। পালং পনির, পালং চিকেন এসব তো বানানো হয়ই। সরষে শাকের পরোটাও খাওয়া হয় শীতের দিনে। তবে শীতে চেনা এই সব শাকের থেকেও উপকারী হল বেতো শাক। অনেকেই এই শাক খেতে জানেন না। তবে গ্রামের দিকে এই সব খাবারের চাহিদা তুঙ্গে। বেতো শাক খেলে ডায়াবেটিসও থাকে নিয়ন্ত্রণে। আয়ুর্বেদেও খুব কদর রয়েছে এই শাকের। বেতো শাক রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। এছাড়াও রক্ত পরিশোধনে সাহায্য করে এই শাক। এছাড়াও আয়ুর্বেদে বলা হয়েছে নিয়মিত এই শাক খেলে অন্তত ৩০ টি রোগের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

ডায়াবেটিসের সঠিক কারণ কী তা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। অগ্ন্যাশয় থেকে ইনসুলিন হরমোনের ক্ষরণ হয়। যদি সেই হরমোনের ক্ষরণ একেবারেই কমে যায় বা না হয় তাহলে রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যায়। ইদানিং কালে বিশ্বজুড়েই বাড়ছে ডায়াবেটিসে আক্রান্তের সংখ্যা। আর তাই প্রতি ৬ মাস অন্তর অবশ্যই রক্ত পরীক্ষা করাতে হবে। আর সেই পরীক্ষায় যদি সুগার বেশি ধরা পড়ে তাহলে প্রথম থেকেই সাবধান হতে হবে। নজর দিতে হবে রোজকারের ডায়েটে।

কেন শীতের দিনে বেতো শাক খাবেন?

বেতো শাকের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার। আর ফাইবার রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। একই সঙ্গে রক্ত শোধন করে। রক্তনালীও পরিষ্কার থাকে। ফলে ব্লাড সুগার বাড়ে না।

লিভার পরিষ্কার রাখতেও সাহায্য করে বেতো শাক। যেহেতু রক্ত পরিষ্কার রাখে এই শাক তাই লিভারও ভাল থাকে। ফলে লিভারের সমস্যা থেকেও সহজে রেহাই পাওয়া যায়।

এই শাকের মধ্যে এমন কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা প্রদাহ রোধ করে। এমনকী ব্যথা-বেদনার হাত থেকেও রক্ষা করে। ঠাণ্ডায় দাঁতের ফোলা ভাব, মাড়িতে ব্যথা, পায়ে ব্যথা, গাঁটের ব্যথা , আর্থ্রাইটিস থেকেও মুক্তি দেয় বেতো শাক।

বেতো শাকের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন এ, সি, বি৬, আয়রন, ক্যালশিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম। যে কারণে বাচ্চাদের বেতো শাক খাওয়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয় ছোট থেকেই।

যে সব রোগ দূরে থাকে এই বেতো শাক খেলে-

ক্ষুধামন্দা
পেটেব্যথা
জন্ডিস
ক্লান্তি
বার বার প্রস্রাব হলে
প্রস্রাবের রং গাঢ় হলে সাবধান। এসব কিন্তু জটিল কোনও রোগেরই ইঙ্গিত। শাক, ফল-সবজি নিয়মিত খেলে তবেই সুস্থ থাকবেন