
যতদিন যাচ্ছে বাড়ছে কোলেস্টেরলের সমস্যা। যার সরাসরি প্রভাব পড়ে হার্টের উপরও। অনিয়ন্ত্রিত জীবনধারা, অস্বাস্থ্য়কর খাদ্যাভ্য়াসের জন্য নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় কোলেস্টেরল। শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল অর্থাৎ এলডিএলের পরিমাণ বেড়ে গেলেই দেখা দেয় বিপদ।
এই সমস্যার প্রথম চিকিৎসাই হল, জীবনধারার লাগাম টানা। ওষুধের পাশাপাশি পাতে রাখুন এমন কিছু যা কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এটা প্রমাণিত যে, এসব খাবার বেশ কিছুদিন খেলে কোলেস্টেরল বাড়বে না। আসুন দেখে নেওয়া যাক কোন-কোন খাবার রয়েছে এই তালিকায়…
আমন্ড ও দই:
আমন্ড শরীরের জন্য ভীষণই জরুরি। এতে মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট ও প্রোটিন রয়েছে। যা শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল অর্থাৎ এলডিএলের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
অন্য়দিকে গবেষণা বলছে, নিয়মিত টকদই খেলে কোলেস্টেরল বাড়ে না। এছাড়াও দইতে উপস্থিত প্রোবায়োটিক হজম শক্তিও উন্নত করে।
রসুন ও পেঁয়াজ:
রসুন ও পেঁয়াজ উভয়ই কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য় করে। পেঁয়াজে রয়েছে কোয়ার্সেটিন যা কোলেস্টেরকে নিয়ন্ত্রণ করে। রসুনে আছে অ্যালিসিন যা কোলেস্টেরল বাড়তে দেয় না।
হলুদ ও গোলমরিচ:
হলুদে রয়েছে অ্যান্টিইনফ্ল্যামেটরি ও কোলেস্টেরলরোধী বৈশিষ্ট। অন্যদিকে গোলমরিচে রয়েছে পাইপারিন। গবেষণা বলছে, রোজ হলুদ ও গোলমরিচ খেলে কোলেস্টরল নিয়ন্ত্রণে থাকে।
মসুর ডাল:
কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণকারী আরও একটি ভাল উপায় হল মুসুর ডাল। এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার ও প্রোটিন রয়েছে। যা কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য় করে।
গ্রিন টি ও লেবু:
গ্রিন টিতে রয়েছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট যা কোলেস্টেরলকে বশে রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া লেবুতে রয়েছে ফ্ল্য়াভোনয়েড। গবেষণা বলছে, এই দুই উপাদান একসঙ্গে মিশিয়ে খেলেই কমবে কোলেস্টেরল।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।