দুই দশকেরও বেশি সময় পর, ২০২১ সালে মিস ইউনিভার্সের (Miss Universe 2021) মুকুট জিতে ইতিহাস তৈরি করেছিলেন ২১ বছরের তন্বী হারনাজ সান্ধু (Harnaaz Sandhu)। ২০২১ সালের ১২ ডিসেম্বর, ইজরায়েলের ইলাতে ইউনিভার্স ডোমে আয়োজিত আন্তর্জাতিক সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় তাঁর প্রতিভা ও উজ্জ্বল সৌন্দর্যের মধ্য দিয়ে গোটা বিশ্বের মন জয় করে নিয়েছিলেন। সারা দেশ ওই ২১ বছরের তরুণীকর জন্য গর্বিত হয়েছিল।
মিস ইউনিভার্সের মুকুট জেতার পর, প্রথমবার দেশে ফিরেছেন হারনাজ। সম্প্রতি শেষ হওয়া ল্যাকমে ফ্যাশন উইকে র্যাম্পে হাঁটতে দেখা গিয়েথে। বিভিন্ন সামাজিক ইভেন্টেও তাঁকে দেখা গিয়েছে। তাঁর ভদ্রতা ও বিনয়ী স্বভাব অনেকের মন জয় করে নিয়েছে। কিন্তু হারনাজের সেই তন্বীভাব খুঁজতে গিয়ে হোঁচট খেয়েছেন অনেকই। মিস ইউনিভার্স জেতার পর হঠাত করে ওজন বৃদ্ধি হয়েছে বিশ্বসুন্দরীর। তবে সেই নিয়ে লুকিয়ে রাখেন কোনও কিছুই। চেহারায় এমন আমূল পরিবর্তন সম্পর্কে চুপ করে না থেকে প্রকাশ্যে এক জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার কথা জানিয়েছেন।
ডিজাইনার শিবান এবং নরেশের পোশাকে তিনিই ছিলেন শোস্টপার। সেখানে প্রশংসার মাঝেই অনেককেই তাঁর চেহারা নিয়ে কথা তুলেছেন। বিশ্বসুন্দরীর মুখের জো-লাইন এখন আর স্পষ্ট নেই। মুখ ও শরীর ফুলে পাল্টে গিয়েছে মুখের আদলই। এমনটা হল কীভাবে? আসলে এই রোগ দহছাত করে হারনাজের শরীরে বাসা বাধেনি। অনেক ছোট থেকেই তিনি সেলিয়ার রোগে আক্রান্ত। পুরনো এই অসুখের জন্য তাঁকে একসময় হাসপাতালে ভরতিও হতে হয়েছিল। সেই রোগই আবার মাথাচাড়া দিতে শুরু করেছে।
সিলিয়াক রোগ কি?
এটা একটা ডাইজেস্টিভ ডিসঅর্ডার। গ্লুটেন জাতীয় খাবারের প্রতি অ্যাবনরমাল ইমিউন রিঅ্যাকশনের ক্ষেত্রে এই শারীরিক সমস্যা হয়। স্প্রু, ননট্রপিকাল স্প্রু, এবং গ্লুটেন-সংবেদনশীল এন্টারোপ্যাথি হল সিলিয়াক ডিজিজ বর্ণনা করার জন্য ব্যবহৃত শব্দগুলি। হারনাজ তার গ্লুটেন অ্যালার্জি এবং বিভিন্ন দেশে ভ্রমণ করার সময় তার শরীর কীভাবে পরিবর্তিত হয় সে সম্পর্কে এএনআইকে একটি সাক্ষাত্কারে জানিয়েছেন।
তিনি এএনআইকে জানিয়েছেন, “আমার সিলিয়াক রোগের কথা কেউ জানে না। এই রোগের কারণে আমি গম এবং অন্যান্য ভোজ্য জিনিস খেতে পারি না। এছাড়াও যদি কোনও জায়গা পরিবর্তন হয় তবে শরীরে একটি নির্দিষ্ট পার্থক্য দেখা যায়। যদি কেউ পঞ্জাব বা অন্য কোনও জায়গায় যায় তবে তার মধ্যে ওজন বাড়তে বা শরীরে পরিবর্তন দেখতে পাবেন। আমার ক্ষেত্রেও তাই ঘটেছে। আমি নিউইয়র্কে গিয়েছিলাম যা আমার জন্য সম্পূর্ণ নতুন ছিল।”
লক্ষণ
সিলিয়াক রোগের লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে ফোলাভাব, ক্লান্তি, আয়রনের ঘাটতিজনিত রক্তাল্পতা, বমি বমি ভাব এবং বমি হওয়া, মাথাব্যথা এবং ক্লান্তি, জয়েন্টে ব্যথা এবং গাঁটে গাঁটে শক্ত হয়ে যাওয়া এবং ডার্মাটাইটিস হারপেটিফর্মিস।
চিকিত্সা পদ্ধতি
সিলিয়াক রোগের চিকিত্সার একমাত্র উপায় হল আপনার খাদ্য থেকে গ্লুটেন বাদ দেওয়া। ভারসাম্যপূর্ণ এবং স্বাস্থ্যকর খাদ্য বজায় রেখে গ্লুটেন কীভাবে দূর করবেন সে সম্পর্কে আপনি আপনার ডাক্তারের কাছ থেকে পরামর্শ পেতে পারেন।
আরও পড়ুন: Aphasia: কথা বলতে গিয়ে সমস্যা হচ্ছে! অ্যাফাসিয়ায় থেমেছে ব্রুস উইলিসের কেরিয়ার, এই রোগ কী?