AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Children’s Health: আপনার সন্তানের বিকাশের জন্য বেছে নিন এই খাবারটিকে!

আপনি যদি আপনার সন্তানকে প্রতিদিন একটি করে ডিম খাওয়ান তাহলে দূর হতে পারে অনেক রোগ, তার সঙ্গে আপনার সন্তান বেড়েও উঠবে দ্রুত। ডিম সেদ্ধ হোক বা ভাজা কিংবা ফ্রেঞ্চ টোস্ট প্রতিদিন আপনার সন্তানের পাতে এই খাবারটিকে অবশ্যই রাখুন।

Children's Health: আপনার সন্তানের বিকাশের জন্য বেছে নিন এই খাবারটিকে!
প্রতীকী ছবি
| Edited By: | Updated on: Sep 22, 2021 | 12:29 PM
Share

গবেষণায় দেখা গেছে, শিশুদের বিকাশে সাহায্য করে ডিম। আপনি যদি আপনার সন্তানকে প্রতিদিন একটি করে ডিম খাওয়ান তাহলে দূর হতে পারে অনেক রোগ, তার সঙ্গে আপনার সন্তান বেড়েও উঠবে দ্রুত। ডিম সেদ্ধ হোক বা ভাজা কিংবা ফ্রেঞ্চ টোস্ট প্রতিদিন আপনার সন্তানের পাতে এই খাবারটিকে অবশ্যই রাখুন। তাহলে চলুন দেরি না করে দেখে নেওয়া যাক, শিশুদের ওপর ডিম কতটা কার্যকরী।

প্রোটিনে ভরপুর- একটি ডিমের মধ্যে ৬ গ্রাম প্রোটিন রয়েছে। এই প্রোটিন বাচ্চাদের মধ্যে নতুন কোষ তৈরি, বিল্ডিং ব্লক এবং কোষের পুনর্জন্মের জন্য প্রয়োজন। এটি বাচ্চা বৃদ্ধি এবং মজবুত ও শক্তিশালী করতে সহায়তা করে। আর আপনার বাচ্চা যদি দিনে একটি করে ডিম খায় তাহলে আর প্রয়োজন নেই তাকে অন্য মাল্টিভিটামিন খাদ্য দেওয়ার।

লুটেইন এবং জিয়াক্সানথিনে ভরপুর- শিশুর চোখের জ্যোতির জন্যও ডিম সহায়ক, কারণ এর মধ্যে রয়েছে লুটেইন এবং জিয়াক্সানথিন। এই দুই উপাদান শিশুদের দৃষ্টি শক্তিকে তীক্ষ্ণ করে এবং ম্যাকুলার ডিজেনারেশনের প্রভাব হ্রাস করে। তার সঙ্গে চোখে রেটিনার স্বাস্থ্যকেও বজায় রাখে।

কোলিন- কোলিন কোষের ঝিল্লি বা পর্দা তৈরিতে সহায়তা করে। এটি মস্তিষ্কের বিকাশের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। কোলিন মস্তিষ্কের অণুগুলি তৈরি করে যা স্নায়ুগুলিকে সংকেত দেয়। ১টি ডিমের মধ্যে ১০০ এমসিজি কোলিন থাকে।

child

প্রতীকী ছবি

ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ- মাছের মধ্যে পাওয়া যায় ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড শরীরের জন্য সবচেয়ে বেশি কার্যকর। কিন্তু ডিমের মধ্যেও ওমেগা-৩ এর পর্যাপ্ত পরিমাণ রয়েছে যা শিশুদের প্রাথমিক মস্তিষ্কের বিকাশ এবং জ্ঞানীয় স্মৃতি বৃদ্ধি সহায়তা করে। নিয়মিত ডিম খাওয়া বাচ্চাদের প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাত এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করতে পারে।

ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ- ডিম হচ্ছে একটি মাত্র খাদ্য যাতে ভিটামিন ডি রয়েছে। অন্যথায় শুধুমাত্র সূর্যালোক থেকেই ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। এই ভিটামিন ডি শিশুর হাড়কে মজবুত ও শক্তিশালী করতে সহায়তা করে।

চুল ও নখের ক্ষেত্রে সহায়ক- ডিমের মধ্যে ৯টি প্রয়োজনীয় অ্যামাইনো অ্যাসিড রয়েছে যার শিশুদের চুল ও নখের স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করে। অনেক সময় বাচ্চাদের মুখে আঙুল দেয় বা দাঁত দিয়ে নখ কাটে; এই সব ক্ষেত্রে দ্রুত নখের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে ডিম। তাছাড়া ডিম হল একটি প্রাকৃতিক কন্ডিশনার।

ফ্যাটের ভারসাম্য বজায় রাখে- শৈশবে ওবেসেটির চিন্তা না করেই শিশুদের সব ধরনের খাবার খাওয়ানো উচিত; কারণ এটা তাদের বেড়ে ওঠার সময়। তবে অনেক বাচ্চাদের মধ্যে ওবেসেটির ধাত থাকে, কিছুটা জেনেটিক কিছুটা জীবনধারার কারণে। কিন্তু ডিম শিশুদের মধ্যে এই ওবেসেটি এবং স্বাস্থ্যকর ফ্যাটকে বজায় রাখতে সাহায্য করে।

ভিটামিন বি১২ ও ফোলিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ- ডিমের মধ্যে থাকা এই দুই উপাদান শিশুদের স্নায়বিক স্বাস্থ্যকে উন্নত করে। শরীরে ফোলেটের অভাব থাকলে একাধিক স্নায়ু জনিত রোগ দেখা দেয়। সেই ক্ষেত্রে ডিম শিশুদের বিকাশে সাহায্য করে।

আরও পড়ুন: আপনার সন্তানের উচ্চতা নিয়ে চিন্তিত? দেখে নিন কী করলে বাড়বে শিশুর উচ্চতা 

আরও পড়ুন: আপনার শিশুর দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে চান? খেয়াল রাখুন এই কয়েকটি বিষয়!