পুজো, উৎসব মানেই বাড়িতে অনেক লোকর সমাগম, চেনা রুটিন থেকে কয়েকদিনের জন্য একটু বিরতি। এখন আর পুজো-পার্বণে বাড়িতে লোকজন না এলেও আলো, রোশনাই, আড্ডা, খাওয়া-দাওয়া এইসব তো হয়েই থাকে। একসঙ্গে বসে আড্ডা মারা, ঠাকুর দেখতে যাওয়া কিংবা সপরিবারে বাইরে খেতে যাওয়া শুধুমাত্র পুজোর সময়েই হয়। দুর্গাপুজো, লক্ষ্মীপুজোর পর সকলে অপ্ক্ষা করে থাকেন দীপাবলির জন্য। সপ্তাহভর চলল পুডোর হিড়িক। বৃহস্পতিবার ভাইফোঁটা তবুও মঙ্গলবার থেকে অনেককেই কাজে ফিরতে হয়। রাত জেগে অঞ্জলি দেওয়া, পুজোর ভোগ খাওয়া এসব থেকে হঠাৎ করে যদি কাজের হিসেব নিয়ে বসতে হয় তাহলে আর কার না খারাপ লাগে। পুজোর পর স্কুলে যেতে বা পড়তে বসতে শুধুই যে ছোটদের খারাপ লাগে তা নয় বড়দেরও কিন্তু মন খারাপ হয়।
আলো, আনন্দ আমাদের মনে খুশির বার্তা বয়ে আনে। এর মাঝে অফিসের কথা শুনলেই গায়ে জ্বর আসে। কাজে মন বসে না। যেতেও ইচ্ছে করে না। তবুও এই মনখারাপ নিজেদেরই কাটিয়ে উঠতে হবে। এই ছুটি নেই, ছুটি শেষ- ব্যাপারটি বার বার ভাববেন না। তবে আরও সমস্যা হতে পারে। সেই সঙ্গে মন থেকে যা কিছু অবশ্যই মেনে চলবেন-
স্বাস্থ্যকর খাবার খান- অনেকেই কালীপুজোয় উপোস করেন। উপোস আর অঞ্জলি পর্ব শেষ করে এতটাই ক্লান্তি থাকে যে অন্য কোনও কাজেও মন লাগে না। আর তাই সেই ক্লান্তি দূর করতে ঘন গন চা-কফি একেবারেই খাবেন না। এতে হিতে বিপরীত হয়। কফির মধ্যে থাকা ক্যাফেইন আমাদের শরীরের জন্য একদম ভাল না। পরিবর্তে শাক, সবজি, ডাল, ফল এই সব খাবার রাখুন ডায়েটে।
ভিটামিন খান- পুজো, উপোস ইত্যাদিতে ঠিকমতো খাবার খাওয়া হয় না। সরীরে ভিটামিনের ঘাটতি হলে সেখান থেকেও মন মেজাজ খারাপ হয়। তাই এমন দিনে ভিটামিন বেশি করে খাবেন। প্রয়োজনে নানা রকম সাপ্লিমেন্ট নিতে পারেন এই সব দিনের জন্য।
নিজেকে কষ্ট দেবেন না- এমন কোনও কিছু করবেন না, যাতে নিজে মন থেকে কষ্ট পান। বরং যে কাজ করতে ভাল লাগে তাই করুন। অযথা বা জোর করে কিছু করবেন না। শরীর যদি খুব খারাপ লাগে তাহলে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে আবার কাজ করুন।
পছন্দের গান শুনুন – গান বা মিউজিক আমাদের মনকে নিয়ন্ত্রণ করে। আর তাই মন ভাল রাখতে কানে থাকুক গান। গান শুনুন, কাজ করুন। এতে মন ভাল থাকবে। কাজেও আসবে এনার্জি।
সৃজনশীল কিছু করুন- এমন কোনও কাজ করুন, যাতে মন ভাল থাকে। ছবি আঁকতে পারেন, কোনও ভাল লেখা লিখতে পারেন, বই পড়তে পারেন, ঘর সাজাতে পারেব। এতেও মন ভাল থাকে। কাজ করার এনার্জি পাওয়া যায়।