Bone Death: কোভিড থেকে সেরে ওঠার পর বাড়ছে অস্টিওনেক্রোসিসের মত সমস্যা! যে ভাবে শনাক্ত করবেন এবং সাবধান হবেন

TV9 Bangla Digital | Edited By: রেশমী প্রামাণিক

Feb 25, 2022 | 10:35 PM

Post-COVID Syndrome: কোভিড পরবর্তী সময়ে একাধিক স্বাস্থ্য জটিলতা দেখা দিচ্ছে। মূলত কোভিড থেকে সেরে ওঠার মাস ছয়েক পরই সেই সব সমস্যা প্রকট হচ্ছে। আর তাই কোনও সমস্যা হলে প্রথম থেকেই সতর্ক হন...

Bone Death: কোভিড থেকে সেরে ওঠার পর বাড়ছে অস্টিওনেক্রোসিসের মত সমস্যা! যে ভাবে শনাক্ত করবেন এবং সাবধান হবেন
কোভিড পরবর্তী সমস্যা অবহেলা নয়

Follow Us

অ্যাভাসকুলার নেক্রোসিস (Avascular Necrosis)- হল রক্তের অভাবে হাড়ের কোশের মৃত্যু। মূলত জয়েন্টে বা হাড়ের কোনও একটি অংশে রক্ত প্রবাহ ব্যহত হয়। ফলে আচমকা হাড় ভেঙে যেতে পারে। প্রথমেই বড়সড় বিপত্তি না হলেও পরবর্তীতে তা কিন্তু জটিল আকার নেয়। আর এই সমস্যা একেবারে প্রথমেই যে ধরা পড়ে তেমন কিন্তু নয়। প্রথমে আর্থ্রাইটিসের (Arthritis)উপসর্গ দেখা গেলেও পরবর্তীতে সেখান থেকে আসে অস্টিওনেক্রোসিসের (Osteonecrosis) সমস্যা। দীর্ঘদিন ধরে স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ বেশি খেলে কিংবা মদ্যপানের অভ্যাস থাকলে এই ধরনের সমস্যা কিন্তু বেশি হয়। যদিও সাধারণ উপসর্গ হিসেবে মাত্রাতিরিক্ত স্টেরয়েডের কারণই তুলে ধরেছেন চিকিৎসকেরা। ৩০-৫০ বছর বয়সীরা এই সমস্যায় বেশি ভোগেন।

ইদানিং কোভিড থেকে সেরে ওঠার পর অনেকেই কিন্তু এই সমস্যার কথা বলছেন। কোভিডের চিকিৎসায় যে স্টেরয়েডের ব্যবহার করা হয়েছিল, অস্টিওনেক্রোসিসকে তারই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা। তবে নিয়মিত ভাবে এই সমস্যা চলতে থাকলে সেখান থেকে কিন্তু গুরুতর সংক্রমণের সম্ভাবনা থেকে যায়। আর তাই হাড়ের এই সমস্যা ধরা পড়ার পরই চিকিৎসা শুরু করার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। প্রফিল্যাকটিক বিসফসফোনেট থেরাপির মাধ্যমে চিকিৎসা করা হয়। হাড়ের ক্ষয় কমাতে প্রতি তিন মাস অন্তর বিসফসফোনেট গ্রুপের একটি ওষুধ ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে প্রয়োগ করা হয়। স্টেরয়েডের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রোধ করতেই এই ওষুধ প্রয়োগ করা হয়।

এই রোগের উপসর্গ হিসেবে প্রথমে কুঁচকি বা নিতম্বে ব্যথা হয়। এছাড়াও আক্রান্ত পায়ে ওজন নিতে না পারা, দাঁড়াতে সমস্যা এসব দেখা যায়। মূলত কোভিড সংক্রমণের ৬-৯ মাস পর এই লক্ষণগুলি দেখা যায়। প্রথমে হিপ জয়েন্টে সমস্যা হয়। তাই অনেক সময় হিপ জয়েন্টে চিড় ধরার সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু সেক্ষেত্রে অপারেশন ছাড়া কিন্তু কোনও গতি থাকে না।  হিপ জয়েন্টে প্রয়োজনীয় পরীক্ষার মাধ্যমে হিপ রিপ্লেসমেন্ট করা হয়েছে। সুস্থ হতে ৬ সপ্তাহ সময় লেগেছে। কিন্তু অপারেশনের পর সকলেই সুস্থ হয়ে উঠেছেন।

আর তাই যাঁদের কোভিড হয়েছে এবং কোনও শারীরিক সমস্যা রয়েছে তাঁদের নিয়মিত চিকিৎসা পর্যবেক্ষণের মধ্যে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। শরীরের কোনও অংশে ব্যথা হলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। কোনও ভাবেই ফেলে রাখবেন না। কারণ দীর্ঘদিন ফেলে রাখলে সেখান থেকে আসতে পারে একাধিক সমস্যা। আর তাই হিপ জয়েন্টে ব্যথা হলে প্রথমেই এমআরআই করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষক্ষরা। সেই রিপোর্ট অনুসারেই প্রয়োজনীয় পরবর্তী পদক্ষেপ নিচ্ছেন তাঁরা।

Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।

আরও পড়ুন: Heart Disease: সাংসারিক কাজ কমাতে পারে বয়স্ক মহিলাদের হৃদরোগের ঝুঁকি! বলছে সমীক্ষা

Next Article