High Uric Acid Foods: এই ৫ খাবার ইউরিক অ্যাসিডের চরম শত্রু, খেলেই পড়বেন বিপদে
How To Lower Uric Acid: ফলের রসের মধ্যে সুক্রোজ আর ফ্রুকটোজ বেশি পরিমাণে থাকে। চিনিযুক্ত পানীয় বেশি খেলে ইউরিক অ্যাসিডের প্রবণতা বাড়বেই। ফলের রসের মধ্যে সুগার বেশি পরিমাণে থাকে

প্রায়শই শরীরে ফোলা ভাব, পা ব্যথা, জয়েন্টে ফোলাভাব, তীব্র ব্যথায় ভুগছেন? এসবই কিন্তু শরীরে ইউরিক অ্যাসিড বৃদ্ধির লক্ষণ। আজকাল ব্যথা নিয়ে সকলেই জর্জরিত। কোথায় ব্যথা নেই! পায়ে ব্যথা, কোমরে ব্যথা, হাঁটুতে ব্যথা, ঘাড়ে ব্যথা… ব্যথা নিয়ে সমস্যার শেষ নেই। হাজারো ওষুধেও তা সারে না। গাঁটে ব্যথার ক্ষেত্রে কারণ হল শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের বৃদ্ধি। ইউরিক অ্যাসিড পরিমাণের তুলায় বেড়ে গেলে তখন সেখান থেকে একাধিক সমস্যা আসে। ইউরিক অ্যাসিড বাড়লেই ব্যথা বাড়বে। ইউরিক অ্যাসিড আদতে শরীরের বর্জ্য পদার্থ। পিউরিন সমৃদ্ধ খাবার বেশি খেলে তখনই সমস্যা বেশি হয়। কারণ পিউরিন ভেঙেই তৈরি হয় ইউরিক অ্যাসিড।
প্রস্রাবের মাধ্যমে বেরিয়ে আসে ইউরিক অ্যাসিড। তা না হলে এই ইউরিক অ্যাসিড রক্তে জমতে থাকে। পরবর্তীতে তা কেলাসের আকার নেয়। এই ইউরিক অ্যাসিড রক্তে জমতে থাকলেই গাউটের সমস্যা বাড়ে। ইউরিক অ্যাসিড বেশি বাড়লে সেখান থেকে কিডনি স্টোনও হতে পারে। সব কিছুর জন্য ঘুরে ফিরে আমাদের খাবারই দায়ী থাকে। পুষ্টিকর খাবার হিসেবে আমরা যে সব খাবারকে জানি সেই সব খাবার বেশি পরিমাণে খেলে সমস্যা হবেই। আর এই সব খাবারের মধ্যে তালিকায় একেবারে প্রথমেই রয়েছে
ফলের রস- ফলের রসের মধ্যে সুক্রোজ আর ফ্রুকটোজ বেশি পরিমাণে থাকে। চিনিযুক্ত পানীয় বেশি খেলে ইউরিক অ্যাসিডের প্রবণতা বাড়বেই। ফলের রসের মধ্যে সুগার বেশি পরিমাণে থাকে। আর তাই জুস খেলে ইউরিক অ্যাসিড বাড়বেই।
রুটি এবং ভাত এই উভয়ের মধ্যেই থাকে রিফাইন্ড কার্বোহাইড্রেট। আর তাই ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা থাকলে ময়দা, চাল, চিনি, ব্রেড, কুকিজ, কেক এসব এড়িয়ে যেতে হবে। জয়েন্টের ব্যথা এড়াতে এই চাল, ব্রেড একেবারেই বাদ দিতে হবে।
সামুদ্রিক মাছের মধ্যে পিউরিন বেশি পরিমাণে থাকে। সার্ডিন, টুনা এসব মাছ তাই এড়িয়ে চলতে পারলেই ভাল।
মাংসের মেটে, কচকচি খেতে অনেকেই পছন্দ করেন। যাদের ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা রয়েছে তাদের একেবারেই খাওয়া ঠিক নয়। আর্থ্রাইটিসের সমস্যা থাকলে একেবারেই নয়। কাঁকড়া, সামুদ্রিক চিংড়ি এসবও কিন্তু এড়িয়ে যেতে হবে।
