কাছের কোনও মানুষ যখন প্রতারণা করে তখন মনের উপর একটা প্রভাব পড়ে। বলা যায় ভিতর থেকে এমন একটা কষ্ট হয় যা মুখ ফুটে বলা যায় না। তেমনই এমন কিছু খাবার আছে যা হার্টের জন্য একেবারেই ভাল নয়। হার্টের উপর প্রভাব ফেলে, হার্টের চরম ক্ষতি করতে পারে। আর সেই চরম ক্ষতি থেকে রোগীকে ফিরিয়ে আনা খুব বেশি কঠিন হয়ে যায়। আমেরিকান কলেজ অফ কার্ডিয়োলজির একটি জার্নালে সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে একটি গবেষণা। আর এই গবেষণায় বলা হয়েছে কিছু খাবার এমন আছে যা মায়োকার্ডিয়াল ইনর্ফাকশনের জন্য দায়ী। এর কারণে হার্টে ফাটল ধরে আর অস্ত্রোপচারের পরও রোগীকে বাঁচানো কঠিন হয়ে পড়ে। রোগী অনেক বেশি ঝুঁকির মধ্যে থাকে। হার্ট অ্যার্টাকের পর হার্টের দেওয়াল দুর্বল হয়ে যায়। আর এর পর সেই পেশী ছিঁড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। সাধারণত হার্ট অ্যার্টাকের ৫-১০ দিনের মধ্যে এই সমস্যা হতে পারে।
হার্ট অ্যার্টাকের পর যে আরও একটি শক আসতে চলেছে এর বেশ কিছু লক্ষণ থাকে। যেমন
বুকে ব্যথা
কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট
শ্বাসযন্ত্রে সমস্যা
কার্ডিওজেনিক শক
পালমোনারি শোথ
কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়া
যে সব খাবারের মধ্যে স্যাচুরেটেড ফ্যাট বেশি পরিমাণে থাকে সেই খাবার বেশি পরিমাণে খেলে সেখান থেকে সমস্যা আসবেই। হার্ট অ্যার্টাকের মূল কারণ হল এই রকম চর্বিযুক্ত খাবার প্রয়োজনের তুলনায় বেশি পরিমাণে খাওয়া। আর তাই যতই লোভ হোক না কেন মাটন, রসগোল্লা আর আইসক্রিম থেকে দূরে থাকতেই হবে।
কোলেস্টেরল আর উচ্চ রক্তচাপ কোলেস্টেরল বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। যে কারণে ভাজা খাবারকেই বেশি দায়ী করা হয়। এই ভাজা খাবারের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ নুন। এছাড়াও ভাজা খাবার, ফাস্ট ফুড, প্রক্রিয়াজাত খাবার, প্যাকেটজাত কোনও খাবার একেবারেই ভাল নয়। আগে থেকেই এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন।
ধূমপানের অভ্যাস থাকলে অবিলম্বে সেই অভ্যাস ছাড়ুন। ধূমপান, মদ্যপান শরীরের জন্য একেবারেই ভাল নয়। রোজ খেলে শরীরের উপর খারাপ প্রভাব পড়বেই।