Sharad Purnima kheer benefits: আয়ুর্বেদ মতে লক্ষ্মী পুজোর পায়েস খেলে সেরে যায় এই চেনা ৫ রোগ! জানতেন?

Sharad Purnima kheer benefits: এই পায়েস খেলে শরীরে পিত্তজনিত সমস্যা, অ্যাসিডিটি, ত্বকের সমস্যা, পেটের জ্বালাপোড়া ভাব,সংক্রমণ জনিত সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়

Sharad Purnima kheer benefits: আয়ুর্বেদ মতে লক্ষ্মী পুজোর পায়েস খেলে সেরে যায় এই চেনা ৫ রোগ! জানতেন?
যে কারণে আজ পায়েস খাবেন

| Edited By: রেশমী প্রামাণিক

Oct 09, 2022 | 7:17 PM

বছরের এই পূর্ণিমা সবচাইতে স্পেশ্যাল। সেই সঙ্গে যত পূর্ণিমা হয় তার মধ্যে শারদ পূর্ণিমার গুরুত্ব সবচাইতে বেশি। ঘরে ঘরে আজ কোজাগরী লক্ষ্মীর আরাধনা। আজ সকাল থেকে পূর্ণিমা তিথি থাকলেও পুজো হয় সন্ধ্যেতেই। আর পুজোর প্রসাদের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হল লক্ষ্মীর প্রিয় খিচুড়ি এবং পায়েস। নিয়মমতে এদিন পায়েস বানিয়ে পায়েসের পাত্র এমন জায়গায় রাখা হয় যেখানে সরাসরি চাঁদের আলো এসে পড়ে। পাত্রটি উপর থেকে একটি পাতলা সাদা কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখা হয়। বলা হয় এই দুধ আর চালে চাঁদের রশ্মি এসে পড়লে অনেক রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। অন্য কোনও পূর্ণিমা হলে চলবে না। তা শারদ পূর্ণিমাই হতে হবে। আয়ুর্বেদেও কিন্তু তা প্রমাণিত। আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞ বৈদ্য মিহির খাত্রীর মতে, পুজোর পায়েসে চাঁদের আলো এসে পড়লে শরীরের জন্য উপযোগী কিছু উপাদান তাতে দ্রবীভূত হয়। এরপর সেই পায়েস খেলে অনেক রকম রোগ সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

গরম পায়েস কখনই নিবেদন করা হয় না। পায়েস ঠাণ্ডা করে তবেই তা বাটিতে ঢালা হয়। পায়েসের মধ্যে থাকে দুধ, চিনি, চাল, এলাচ। এই পায়েস চাঁদের আলোতে আরও বেশি শীতল হয়ে যায়। যেহেতু পায়েস সারারাত বাড়ির বাইরে রাখা থাকে। এবার এই পায়েস খেলে শরীরে পিত্তজনিত সমস্যা, অ্যাসিডিটি, ত্বকের সমস্যা, পেটের জ্বালাপোড়া ভাব,সংক্রমণ জনিত সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। আর তাই এদিন অবশ্যই নিয়ম করে এক চামচ হলেও পায়েস খাবেন।

যে কোনও চর্মরোগ সারাতে খুব ভাল কাজে দেয় এই টোটকা। পূর্ণিমার চাঁদের আলো গায়ে লাগালে অনেক চর্মরোগ সেরে যায়। বিশেষত দাদ বা শ্বেতির মত সমস্যা।


ঘন ঘন যদি চোখের সংক্রমণ হয় তাহলে কাজে লাগান আজকের পূর্ণিমার চাঁদকে। বৈদ্য মিহির খত্রীর পরামর্শ টানা পাঁচ থেকে ১০ মিনিট চাঁদের আলোর দিকে তাকান। শারদ পূর্ণিমার চাঁদের দিকে টানা পাঁচ মিনিট তাকিয়ে থাকলে চাঁদের রশ্মিতে চোখ ঠাণ্ডা হয়। অন্যান্য রোগের প্রভাবও থাকে কম।

এদিনের পূর্ণিমার আলোয় মিছরি ফেলে রাখুন। পরদিন সকালে সেই মিছরি আর ধনেপাতা বেটে জলে মিশিয়ে ছেঁকে খান। এতে ইউরিনারি ট্যাক্ট ইনফেকশনের থেকে রেহাই পাবেন।