
শরীর থাকলে যেমন সমস্যা আসবেই তেমনই মাথা থাকলে মাথা ব্যথাও হবে। মাথা ব্যথা খুবই সাধারণ ব্যাপার। ঘুম কম হলে মাথা ব্যথা হতে পারে, গ্যাস অম্বল হলে সেখান থেকেও মাথা ধরে থাকে। এছাড়াও মাইগ্রেন, টেনশনও হতে পারে মাথাব্যথার অন্যতম কারণ। মাথাব্যথা হলে চোখ, নাক, কানেও ব্যথা হয়। আর মাথা ব্যথা হলে অন্য কোনও কাজেও মন বসে না। চটজলদি সমস্যার সমাধান করতে অনেকেই টপাটপ ওষুধ গিলে নেন। তবে এভাবে ওষুধ খাওয়া কিন্তু মোটেও কাজের কথা নয়। মাথা ব্যথা হলে যদি মুঠো মুঠো ওষুধ খান তাহলে সমস্যা আরও বাড়ে। তবে আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞদের মতে মাথা ব্যথা হলে সব সময় ওষুধ না খেয়ে ভরসা রাখুন আয়ুর্বেদ এই সব টোটকায়। এতে মাথা ব্যথার সমস্যাও কমবে আর শরীরও থাকবে সুস্থ। কী ভাবে বানাবেন এই চা?
একগ্লাস অর্থাৎ ৩০০ মিলি মাপের জল নিতে হবে। এবার এর মধ্যে হাফ চামচ জোয়ান, ১টা বড় এলাচের কুচি, ১ চামচ ধনে বীজ, ৫ টা পুদিনা পাতা ফেলে একসঙ্গে খুব ভাল করে ফুটিয়ে নিতে হবে। এবার খালি পেটে এই জল নিয়মিত খেতে পারলে অনেক রকম সমস্যা থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়া যায়।
ধনের মধ্যে রয়েছে একাধিক উপকারিতা। আছে প্রোটিন, ফাইবার, খনিজ পদার্থ, ক্যালশিয়াম, আয়রন, ফসফরাস, ক্যারোটিন, রাইবোফ্ল্যাভিন, নিয়াসিন, থায়ামিন। এছাড়াও ধনের মধ্যে রয়েছে একাধিক প্রদাহ বিরোধী বৈশিষ্ট্য। বদহজম, কাশি, সর্দি, ডায়াবেটিস, হাঁপানি, শরীরের ফোলাভাব কমাতে খুবই কার্যকরী। এছাড়াও শরীরে যদি হরমোনের ভারসাম্যহীনতা থাকে তাহলে সেক্ষেত্রেও কাজে আসে ধনে বীজ। ধনের মধ্যে সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ফসফরাস, জিঙ্কের মতো উপাদান থাকে যা বিপাকে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে বিপাক ক্রিয়া ঠিক রাখতে ও থাইরয়েডের ওষুধ তৈরিতেও তা ব্যবহার করা যায়।
পুদিনা পাতার মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য। এছাড়াও পুদিনার মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টিটিউমার এবং অ্যান্টিঅ্যালার্জির মতো বৈশিষ্ট্য। অনিদ্রা, অ্যাসিডিটি, মাইগ্রেন, কোলেস্টেরলের সমস্যায় খুবই ভাল কাজ করে পুদিনা পাতা।
মাউথ ফ্রেশনার হিসেবেও ব্যবহার করা যায় এলাচ। স্বাদ আর সুগন্ধের জন্য যেমন এলাচ জনপ্রিয় তেমনই এর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। বমি বমি ভাব, মাইগ্রেন, উচ্চ রক্তচাপের সমস্যার জন্য কাজ করে এলাচ।
অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, অতিরিক্ত ওজন, হরমোনের ভারসাম্যহীনতা, অত্যধিক লোভ থেকে মাথা ব্যথার মত সমস্যা হতেই পারে। তাই আগে নিজের ওজন ঠিক রাখুন, ঠিকমতো খাওয়া দাওয়া করুন , শরীরচর্চা করুন এবং দিনের শুরু অবশ্যই কোনও ডিটক্স ওয়াটারের সঙ্গে করুন।