
Ayurvedic Tips in Bengali: বহু মানুষ মনে করেন যে সঠিকভাবে দাঁতের পরিচর্চা না করার জন্য মুখে দুর্গন্ধ ছাড়া। কিন্তু সবসময় সেটা হয় না। অনেক ক্ষেত্রে অন্ত্রের স্বাস্থ্য, অ্যাসিডিটি, ডায়াবেটিস, ফুসফুসের সংক্রমণের কারণেও মুখ দিয়ে দুর্গন্ধ ছাড়ে। এমনকী জল কম খাওয়ার কারণেও এই সমস্যা দেখা দেয়। পাশাপাশি নিয়মিত দাঁত ব্রাশ না করলে মুখে ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি পায়। যদিও এটা বেশির ভাগ মানুষের মধ্যেই দেখা যায়। কিন্তু যদি দুর্গন্ধ দীর্ঘস্থায়ী হয় তাহলে এটা কোনও পেরিওডন্টাল বা মাড়ির রোগের লক্ষণ। কিন্তু এই সমস্যাকে নিয়ন্ত্রণ করবেন কীভাবে?
আয়ুর্বেদ চিকিৎসক দীক্ষা ভাবসার সম্প্রতি তাঁর ইনস্টাগ্রামে এই প্রসঙ্গে একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। তাঁর মতে ভাল ওরাল হাইজিন বজায় রাখার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করা জরুরি। পাশাপাশি বেশি করে ফল ও শাকসবজি খাওয়া প্রয়োজন। এছাড়াও চিনিযুক্ত খাবার এবং তামাক-ভিত্তিক পণ্যগুলো এড়াতে হবে। এগুলো নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ তৈরি করে। এই দুর্গন্ধ হ্যালিটোসিস নামেও পরিচিত। এই অবস্থাকে প্রতিরোধ করার জন্যও ডাঃ দীক্ষা ৫টি টিপস শেয়ার করেছেন।
দিনে দু’বার ব্রাশ করুন
সকালে ঘুম থেকে উঠে ব্রাশ করলে এটি দাঁত, মাড়ি, জিভের মহদ্যে জমে থাকা সমস্ত টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে। একই ভাবে আপনি যদি রাতেও ব্রাশ করেন তাহলে ওরাল হাইজিন বজায় রাখা যায়। এটা অন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
খাবার পর মৌরি খান
মুখের দুর্গন্ধ দূর করার জন্য খাবার খাওয়ার পর মৌরি চিবিয়ে খান। মৌরির মধ্যে ফ্ল্যাভোনয়েড রয়েছে। এটি লালা প্রবাহকে উদ্দীপিত করতে সাহায্য করে, যা মুখের মধ্যে শুষ্কতা থেকে রেহাই দেয়। এছাড়াও মৌরির সুগন্ধ হ্যালিটোসিস মোকাবিলায় সাহায্য করে।
খাবার পর ভাল করে মুখ ধুয়ে নিন
ডাঃ দীক্ষা জানিয়েছেন যে, আয়ুর্বেদ খাবার খাওয়ার পর জল পান করার পরামর্শ দেয় না। কারণ এটি বিপাককে ধীর করে দিতে পারে। কিন্তু মুখের স্বাস্থ্য ভাল রাখার জন্য আপনাকে খাবার খাওয়া পর জল দিয়ে ভাল করে মুখ ধুতে হবে। অন্তত ২-৩ মিনিট ভাল করে কুলকুচি করুন। খেয়াল রাখুন মুখের মধ্যে কোথাও যেন খাবারের কণা লেগে না থাকে। এতেও আপনি মুখের দুর্গন্ধ এড়াতে পারবেন।
খাবার খাওয়ার মধ্যে ব্যবধান তৈরি করুন
ঘন ঘন খাবার খেলে মুখের স্বাস্থ্যে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই ক্ষেত্রে আপনি খাবার খাওয়ার পর ব্রাশ করে নিতে পারে। অথবা দুটো খাবারের মধ্যে দু থেকে তিন ঘণ্টার ব্যবধান রাখুন। এতে আপনার অন্ত্রের স্বাস্থ্যও ভাল থাকবে।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।