শরীরে যদি টক্সিন জমতে থাকে সেখান থেকে একাধিক সমস্যা হতে পারে। শরীরের কর্মক্ষমতা কমে যায়, মস্তিষ্ক, হার্ট, কিডনির উপরেও প্রভাব পড়ে। যে কারণে শরীরে টক্সিন জমতে দেওয়া একেবারেই ঠিক নয়। সময়ে টক্সিন বের করে দিতেই হবে। নইলে অনেক রকম রোগ সমস্যা জাঁকিয়ে বসবে শরীরে। আমাদের শরীরে টক্সিন তৈরি হওয়ার একাধিক কারণ রয়েছে। বেশি পরিমাণ তৈলাক্ত খাবার খেলে, ফাস্ট ফুড খেলে, জল কম খেলে শরীরে টক্সিন জমবেই। টক্সিন জমতে থাকলে পেট পরিষ্কার হবে না। গ্যাস-অম্বল-হজম আর পেটের সমস্যা লেগেই থাকবে। ট্সিন যদি শরীরে জমতে থাকে তাহলে ত্বকের উপরেও একটা প্রভাব পড়ে। ব্রণ, ফুসকুড়ির সমস্যা অনেক বেশি হয়। আর ডিটক্সিফিকেশন ঠিকমতো না হলে কফ, সর্দি, ঠান্ডা লেগে যাওয়ার সমস্যাটাও অনেকখানি বেড়ে যায়। আর এই সব সমস্যার হাত থেকে রেহাই দিতে রোজ খান করলা বা উচ্ছে। আগেকার দিনে মানুষ তেতো দিয়েই খাওয়া শুরু করত। উচ্ছে ভাতে, ভাজা যদি রোজ গরম ভাতে মেখে খেতে পারেন তাহলে শরীরও ভাল থাকবে।
পেটে কৃমি হলে সেখান থেকে খিদেমন্দা, ওজন কমে যাওয়া, পেটখারাপ, পেট ব্যথা এসব সমস্যা হয়। পেটে একরকম অস্বস্তিও থেকে যায়। আর তাই এই সমস্যার হাত থেকে রেহাই পেতে রোজ নিয়ম করে উচ্ছে খান। সকালে খালি পেটে উচ্ছের রস খেলে সব কৃমি মরে যায়।
লিভারের কার্যকারিতা বাড়াতেও ভূমিকা রয়েছে এই করলার। লিভারে টক্সিন জমতে শুরু করলে সেখান থেকে হজমের সমস্যা হবেই। পরবর্তীতে এখান থেকে লিভার ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। পরবর্তীতে লিভার ড্যামেজ হয়ে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। আর তাই যাঁদের লিভারের কোনও সমস্যা রয়েছে তাঁরা রোজ নিয়ম করে করলা খান।
করলার মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা হজম ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। এছাড়াও অন্ত্রে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার প্রভাব থেকে রক্ষা করে। ফলে খিদেমন্দা হয় না।
করলা খাওয়ার অন্য সব উপকারিতা-
অগ্ন্যাশয় পরিষ্কার রাখে ফলে রক্তশর্করা থাকে নিয়ন্ত্রণে
হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে
মাসিক নিয়মিত হয়
ওজন কমাতেও সাহায্য করে করলা
এছাড়াও রক্ত পরিশুদ্ধ করতে সাহায্য করে করলা। রোজ নিয়ম করে খেলে মস্তিষ্ক, হার্ট এবং শরীরের অন্য সব অঙ্গ প্রত্যঙ্গেও পরিমাণ মতো পুষ্টি সরবরাহ হয়।