
নয়াদিল্লি: বয়স ত্রিশ ছুঁই, ঘিরে ধরছে হাঁটুর ব্যথা। শুয়ে থাকুন বা বসে, সর্বক্ষণই যেন জ্বালা। দাঁড়াতে গেলেও ব্যথা, বসতে গেলেও ব্যথা। সিঁড়ি ভাঙলে প্রবল যন্ত্রণা। এই পরিস্থিতিতে করণীয় কী? ওষুধ, ডাক্তার সাময়িক নিরাময়ের কাজ করে চলে। কিন্তু একেবারে দূর করতে কি পদ্ধতি? পতঞ্জলির প্রতিষ্ঠাতা রামদেব বলছেন, দিনে দশ মিনিট দিন, তা হলেই চলবে। কিন্তু দশ মিনিটে ঠিক কী হবে?
এই হাঁটুর ব্যথা দূরীকরণে মোট চারটি যোগাসন দিয়েছেন রামদেব। তাঁর কথায়, এই যোগাসনগুলি রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করবে। হাঁটুর ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে। পেশী ও টেন্ডনের মতো গুরুত্বপূর্ণ পেশী-হাড়কেও সক্ষম করবে। কিন্তু সেই যোগাসনগুলি কী কী?
এই যোগাসনের ক্ষেত্রে হাঁটু গেড়ে বসে গোড়ালির মাঝখানে চাপ দিতে হবে। এর জেরে গোড়ালি ও হাঁটু প্রসারিত হয়। রক্ত সঞ্চালন বাড়ে। হাঁটুর জয়েন্টের মধ্যে নমনীয়তা বৃদ্ধি করে।
এই যোগাসন ‘কুমির ভঙ্গি’ নামেও পরিচিত। যা মেরুদণ্ড এবং পিঠের নীচের অংশে তৈরি চাপ ও ব্যথা থেকে মুক্তি দেয়। মানসিক শান্তি তৈরি করে। সামগ্রিক রক্ত সঞ্চালন উন্নত করতে সাহায্য করে।
গোটা শরীরকে ত্রিভুজাকারে প্রসারিত করতে হবে। এটি মেরুদণ্ড, পা এবং কাঁধের পেশী প্রসারিত করে। হাঁটুর জোর বাড়ায়। হজমেও সাহায্য করে থাকে।
এই যোগাসনকে অনেকে ‘গারল্যান্ড পোজ’ বা ভারতীয় স্কোয়টও বলে থাকেন। যা হাঁটুর জোর বাড়ানোর জন্য সবচেয়ে কার্যকরী একটি পদ্ধতি। এমনকি, হজম শক্তি বৃদ্ধিতেও অত্যন্ত উপযোগী।
তবে কেউ যদি এই সকল যোগাসন করতে না পারেন, তাঁদের জন্যও পথ বাতলে দিয়েছেন রামদেব। তিনি জানিয়েছেন, একটু-আধটু ব্যায়াম এবং হাঁটা চলা অত্যন্ত জরুরী। ওজন কমানো প্রয়োজন। যাতে হাঁটুতে তৈরি চাপ কমে।