National Pollution Control Day: শীতে বাড়ছে দূষণের মাত্রাও! এই পরিস্থিতিতে কীভাবে রক্ষা করবেন আপনার নবজাতককে? দেখে নিন

এই পরিস্থিতিতে তারা সহজেই জ্বর, সর্দি‌র মত সমস্যার সম্মুখীন হয়। যাতে শিশুর কোনওভাবে ঠান্ডা না লেগে যায়, তার খেয়াল আপনাকেই রাখতে হবে। এর জন্য মেনে চলুন সাধারণ কয়েকটি টিপস।

National Pollution Control Day: শীতে বাড়ছে দূষণের মাত্রাও! এই পরিস্থিতিতে কীভাবে রক্ষা করবেন আপনার নবজাতককে? দেখে নিন
শীতে আরেকটু যত্ন নিন আপনার শিশুর
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 03, 2021 | 4:04 PM

আজ ২ ডিসেম্বর। জাতীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ দিবস। ভোপাল গ্যাস দুর্ঘটনার পর ১৯৮৪ সাল থেকে আজকের দিনে দেশ জুড়ে পালিত হয় জাতীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ দিবস। কিন্তু আজ ৩৭ বছর পরেও আমরা কি নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি দূষণকে? কিংবা এই দূষণের মাত্রা কতটা বেড়েছে ২০২১-এ এসে? আর এই পরিবেশন দূষণের পিছনে আমরা কতটা দায়ী? এই সব প্রশ্নের উত্তর সময়ই দেবে।

যখন একটি শিশু জন্ম নেয় পৃথিবীতে, তার মধ্যে পৃথিবীর এই দূষণের সঙ্গে লড়াই করার ক্ষমতা থাকে না। যার ফলে এই দূষণে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় একটি শিশু প্রাণ। একটি নবজাতকের জন্মের সঙ্গে বাবা মায়ের দায়িত্ব অনেক বেড়ে যায়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাকে বড় করে তোলা, সমস্ত বিপদ আপদ থেকে রক্ষা করতে ছাপিয়ে পড়ে বাবা-মা। এখন শীতের মরসুম। আর এটা যদি আপনার শিশুর প্রথম শীত হয়, তাহলে আরেকটু বেশি যত্ন নিতে হবে নবজাতকের।

সদ্য তারা এই পৃথিবীতে এসেছে। তাদের মধ্যে ক্ষমতা নেই এই পৃথিবীর দূষণ ও জীবাণুর সঙ্গে লড়াই করার। তার ওপর এখন ঋতু পরিবর্তনের সময়। শীতে দূষণের মাত্রাও বেড়ে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে কীভাবে যত্ন নেবেন আপনার শিশুর।

এই পরিস্থিতিতে তারা সহজেই জ্বর, সর্দি‌র মত সমস্যার সম্মুখীন হয়। যাতে শিশুর কোনওভাবে ঠান্ডা না লেগে যায়, তার খেয়াল আপনাকেই রাখতে হবে। এর জন্য মেনে চলুন সাধারণ কয়েকটি টিপস। এতেই সুস্থ থাকবে আপনার শিশু।

সর্বপ্রথম শিশুকে প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বার করবেন না। রোদ পোহানোর হলে বাড়ির ছাদে কিংবা বারান্দায় নিয়ে বসতে পারেন। কিন্তু রাস্তা বেরোনো শিশুর স্বাস্থ্যের পক্ষে সুরক্ষিত নয়। তাই প্রয়োজন ছাড়া, যেমন ডাক্তারের কাছে যাওয়া ছাড়া রাস্তায় শিশুকে বের করা উচিত নয়।

যে ঘরে শিশু থাকে, সেটাকে গরম করে রাখুন। এর জন্য ঘরে রুম হিটারের ব্যবস্থা করতে পারেন। এছাড়াও ঘরে ভেপারের ব্যবস্থা করতে পারেন। এতে ঘর গরম থাকবে এবং আপনার শিশু আরামে থাকতে পারবে। একই ভাবে স্নান করানোর সময় উষ্ণ গরম জল ব্যবহার করুন।

আপনার শিশুর ঘরে আশেপাশে কেউ যাতে ধূমপান না করে, সেই বিষয়ে খেয়াল রাখুন। শিশুকে যে কোনও ধরনের ধোঁয়া থেকে দূরে রাখুন। শিশুর গায়ে হাত দেওয়ার আগে হাত সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলুন কিংবা স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন। যেহেতু এখন শিশুর রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা কম তাই যে কোনও ছোট ভাইরাসই প্রভাব ফেলতে পারে তার শরীরে। উপরন্ত এখন করোনা পরিস্থিতি তাই অযথা বাইরে থেকে এসে শিশুর গায়ে হাত দেবেন না।

সবচেয়ে ভাল বিষয় হল, স্তন্যপান আপনার শিশুর রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা গড়ে তুলতে কাজ করে। এই সময় আপনার শিশুকে সমস্ত রোগের থেকে দূরে রাখতে সাহায্য করবে স্তন্যপান। আসলে ব্রেস্টমিল্ক কলোস্ট্রাম অ্যান্টিবডি এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্যে পূর্ণ, যা নবজাতকের ইমিউনিটি সিস্টেম গড়ে তুলতে সাহায্য করে।

যদি আপনার শিশুর বয়স ৩ মাসের চেয়ে কম হয় এবং তার শরীরের তাপমাত্রা ১০০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছে যায় তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন এবং দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।

আরও পড়ুন: বদহজমের সমস্যা? তাৎক্ষণিক আরাম পেতে এই ৫টি ঘরোয়া প্রতিকার ব্যবহার করে দেখুন

আরও পড়ুন: আমলকীর তৈরি চা কি দ্রুত ওজন কমাতে সাহায্য করে? জানুন এই মরসুমি ফলের উপকারিতা