Alcoholic Fatty Liver Disease: বিয়ারকে ‘মদ’ মনেই করেন না? আপনার এই ভুল ধারণাতেই বাড়ছে অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকি

TV9 Bangla Digital | Edited By: megha

May 25, 2023 | 10:43 AM

Alcohol-related liver disease: অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত হওয়া রোগীদের একাংশ, বিয়ারকে মদ হিসেবে গ্রাহ্যই করেন না। তাঁদের দাবি বিয়ারের মধ্যে অ্যালকোহলের পরিমাণ সীমিত থাকে এবং সেটা স্বাস্থ্যের কোনও ক্ষতি করে না। এটা সম্পূর্ণরূপে ভুল ধারণা।

Alcoholic Fatty Liver Disease: বিয়ারকে মদ মনেই করেন না? আপনার এই ভুল ধারণাতেই বাড়ছে অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকি

Follow Us

বিশ্বজুড়ে ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে চলেছে। অনিয়মিত জীবনযাপনই মূলত ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়া, অতিরিক্ত ওজনই মূলত ফ্যাটি লিভারের জন্য দায়ী। নন-অ্যালকোহলিক এবং অ্যালকোহলিক এই দু’ধরনের ফ্যাটি লিভারের সমস্যা দেখা দেয়। নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারের চিকিৎসা অনেক বেশি সহজ এবং নিয়মে মধ্যে জীবন কাটালে তা নিয়ন্ত্রণে রাখাও সম্ভব। কিন্তু সবচেয়ে বেশি ভাবিয়ে তোলে অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার। মূলত মদ্যপানের কারণে এই রোগ হানা দেয়।

অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত হওয়া রোগীদের একাংশ দাবি করেন যে, তাঁরা শুধু বিয়ার পান করেন। বেশিরভাগ মানুষ বিয়ারকে মদ হিসেবে গ্রাহ্যই করেন না। তাঁদের দাবি বিয়ারের মধ্যে অ্যালকোহলের পরিমাণ সীমিত থাকে এবং সেটা স্বাস্থ্যের কোনও ক্ষতি করে না। এটা সম্পূর্ণরূপে ভুল ধারণা। রাম, হুইস্কি, জিনের মতোই বিয়ারও অ্যালকোহল। শুধু তফাৎ হল হুইস্কির মধ্যে ৪০% অ্যালকোহল থাকে আর বিয়ারের মধ্যে থাকে ৫%। চিকিৎসকদের মতে, আপনি যে রূপেই এবং যে পরিমাণই অ্যালকোহল সেবন করুন না কেন, তা স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলে। আপনি ছ’মাসে-ন’মাসে মদ খান কিংবা নিয়মিত পান করুন, এটি আপনার স্বাস্থ্যের উপর খারাপ প্রভাব ফেলে।

যে কোনও পরিমাণে অ্যালকোহল লিভারের উপর প্রভাব ফেলে। লিভারের কোষ অ্যালকোহল ফিল্টারের কাজ করে। এই কাজের সময় খুব স্বাভাবিকভাবেই কোষের ক্ষয় হয়। তারপর আবার নতুন কোষ তৈরি হয়। কিন্তু যখন আপনি ক্রমাগত মদ্যপান করেন, তখন লিভারের কোষগুলোর উপর দীর্ঘস্থায়ী ক্ষয় তৈরি হয়, যা মেরামত হয় না। এভাবেই ধীরে ধীরে লিভারের উপর চাপ তৈরি হতে থাকে। এই অ্যালকোহল সেবনের কারণে লিভারের যে ক্ষয় হয় তাকে ‘অ‍্যালকোহল রিলেটেড লিভার ডিজ়িজ’ বা ARLD বলে। এটাও এক ধরনের ফ্যাটি লিভার। তার সঙ্গে লিভার সিরোসিস, অ্যালকোহলিক হেপাটাইটিসের মতো রোগও দেখা দিতে পারে।

অ‍্যালকোহল রিলেটেড লিভার ডিজ়িজের উপসর্গ সহজে ধরা পড়ে না। তাই চিকিৎসা শুরু করতেও অনেক দেরি হয়ে যায়। আর ততক্ষণে লিভারের ক্ষতি বেড়ে যায়। তবে, এই রোগের সাধারণ কিছু উপসর্গ রয়েছে। ওজন কমে যাওয়া, খিদে কমে যাওয়া, ত্বকে ও চোখে হলেদেটে ভাব, পা এবং পায়ের পাতায় জ্বালাভাব এবং গোড়ালি ফুলে যাওয়া, পেটে ব্যথা, বমি ও মলের সঙ্গে রক্তপাত, তলপেটের ডান দিকে অস্বস্তি, ক্লান্তির মতো কিছু লক্ষণ রয়েছে যা কখনওই এড়িয়ে যাওয়া উচিত নয়। যদিও অনেক লিভারের রোগের ক্ষেত্রে আবার ওজনও বেড়ে যায়। অল্প পরিমাণ অ্যালকোহল পান করলেও আপনি নিজের মধ্যে ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলবেন। তাই এই বদভ্যাস থেকে নিজেকে দূরে রাখুন এবং সুস্থ জীবনযাপন করুন।

Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।

Next Article