Benefits Of Jaggery Drink: খালি পেটে এভাবে গুড় জল খেলে মেদ গলে ছিপছিপে হবেন এই শীতেই! ফিট থাকবে ফুসফুসও
Health Benefits: আয়ুর্বেদ অনুসারে, গরম জল ও গুড় একসঙ্গে মিশিয়ে যে পানীয় তৈরি করা হয়, তা স্বাস্থ্যের জন্য একটি চমৎকার প্রতিষেধক হিসাবে কাজ করে।
মকর সংক্রান্তিতে বাঙালির ঘরে ঘরে নলেন গুড়ের সঙ্গে ভাপা পিঠে বা গুড়ের পায়েস অথবা দুধ পিঠে তৈরি হয়েছে। সারা বছরের অপেক্ষার অবসান। কারণ এই নলেন গুড়ের খাঁটি স্বাদ ও গন্ধ মেলে এই শীতেই। আর সেই সঙ্গে পিঠের আঘ্রাণ এখন প্রত্যেক হেঁসেলে। রান্নাঘরে গুড়ের মজুত সব বাড়িতেই। চিকিত্সাশাস্ত্রে গুড় খাওয়া অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর বলে মনে করা হয়। প্রাকৃতিক মিষ্টি হিসেবে গুড়ের ব্যবহার বহুল পরিচিত। শীতকালে উষ্ণতা পেতে গুড়ের যে কোনও আইটেমই অত্যন্ত পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্যকর বলে মনে করা হয়। শুধু পিঠে খাওয়ার জন্যই গুড়ের ব্যবহার করা হয়, তাই নয়, গুড় দিয়ে চা,মিষ্টি, ক্ষীর ও রুটির সঙ্গেও খাওয়া হয়। এতে রয়েছে পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, জিঙ্ক, ফসফরাস ও কপার। এছাড়া এতে রয়েছে বেশি মাত্রায় ভিটামিন ও খনিজ পদার্থও। যা প্রাকৃতিকভাবেই শরীরের জন্য উপকারী। অন্যদিকে এই শীতেই দূষণের মাত্রা বেড়ে যায় দ্বিগুণ। বাইরে মারাত্মক দূষণ থেকে বাঁচতে খাদ্যতালিকায় অবশ্যই রাখুন গুড়।
আয়ুর্বেদ অনুসারে, গরম জল ও গুড় একসঙ্গে মিশিয়ে যে পানীয় তৈরি করা হয়, তা স্বাস্থ্যের জন্য একটি চমৎকার প্রতিষেধক হিসাবে কাজ করে। প্রাকৃতিক পাচক এনজাইম বাড়ায়, হজমশক্তিকে আরও উন্নত করতে ও কিডনির যে কোনও সমস্যার সমাধান হিসেবে এই পানীয়ের কোনও বিকল্প নেই। আয়ুর্বেদবিদদের মতে, প্রতিদিন সকালে খালি পেটে গুড়ে জল খেলে এই শীতে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে। আইসড চা ও লেমনেডের একটি স্বাস্থ্যকর পানীয়ের বিকল্প হিসেবে প্রতিদিন খেতে পারেন। এর উপকারিতাগুলি জানলে চোখ উঠবে কপালে।
শীতে ঠান্ডা লাগার প্রবণতা থাকলে
গুড়ের পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ উপকারিতা সর্দি, কাশি এবং সাধারণ ফ্লুর লক্ষণগুলিকে ধীরে ধীরে উপশপ করার চেষ্টা করে। এতে রয়েছে বেশ কয়েকটি ফেনোলিক যৌগ, যা অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের বিরুদ্ধে লড়াই করে, শরীরকে শিথিল করে ও শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যেঙ্গের কাজগুলি স্বাভাবিক রাখতে সহায়তা করে।
শরীরকে ডিটক্স করে
শরীর থেকে টক্সিন দূর করতে গুড়ের জল অত্যন্ত উপকারী। গুড়ের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে রয়েছে ফাইবার, যা আপনার পরিপাকতন্ত্রকে সহজে পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। এমনকি এটি শ্বাসযন্ত্র, ফুসফুস, খাদ্যনালী, পাকস্থলী ও অন্ত্র পরিষ্কার ও স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
সংক্রমণের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে গুড়ের জল। আসলে, গুড় হল ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন বি১, বি৬ এবং সি-য়ের ভালো উৎস। পাশাপাশি, গুড়ে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও খনিজ, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ব্যপক কাজ করে।
ওজন কমাতে
শরীরে জমে থাকা অতিরিক্ত চর্বি কমাতে গুড়ের জল খুবই উপকারী। প্রাকৃতিক উপায়ে শরীর থেকে মেদ গলিয়ে ফেলতে রোজ খালি পেটে গুড়ে জল খেতে পারেন। গুড়ের মধ্যে উপস্থিত পটাশিয়াম শরীরে ইলেক্ট্রোলাইট ও মিনারেলের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। মেটাবলিজম বাড়ায় ও চর্বি কমায়।
গুড়ের জল কীভাবে প্রস্তুত করবেন
উপাদান
গুড়, চিয়া বীজ, পাতিলেবুর রস, পুদিনাপাতা
পদ্ধতি
– জলের মধ্যে পরিমাণমত গুড় নিয়ে তা ফোটান। পুরোপুরি গলে না যাওয়া পর্যন্ত ফোটান।
– গলে গেলে ১০-১৫ মিনিটের জন্য ঠান্ডা হতে দিন।
– এবার ওই পানীয়তে ৩-৪টি লেবুর রস দিয়ে ছেঁকে নিন। আরও আধঘণ্টা ঠান্ডা হতে দিন।
-পুরোপুরি ঠান্ডা হয়ে গেলে একটি কাঁচের গ্লাসে পরিমাণমত নিন। তাতে ভালো স্বাদের জন্য ও স্বাস্থ্যকর পানীয় গড়তে চিয়া বীজ, পুদিনা পাতা দিতে পারেন।
(Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।)