Diet Chart For Cancer patients: ক্যানসারের সঙ্গে যুঝছেন কিংবা সদ্য যুদ্ধ সেরে উঠেছেন? যেমন হবে আপনার রোজকারের খাদ্য তালিকা

Bengali diet chart: ময়দার খাবার এড়িয়ে চলুন। পরোটা, লুচি, কচুরি এসব যত কম খাবেন ততই কিন্তু ভাল। মুচমুচে ভাজা, ডিপ ফ্রাই খাবার একেবারেই খাওয়া ঠিক না। এতে খাবারের পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়। প্রয়োজনে তা বাড়িতে বানিয়ে খেতে পারেন

Diet Chart For Cancer patients: ক্যানসারের সঙ্গে যুঝছেন কিংবা সদ্য যুদ্ধ সেরে উঠেছেন? যেমন হবে আপনার রোজকারের খাদ্য তালিকা
যেমন হবে আপনার ডায়েট

| Edited By: রেশমী প্রামাণিক

Feb 03, 2024 | 7:30 AM

বছর বছর বাড়ছে ক্যানসার আক্রান্তের সংখ্যা। ডায়াবেটিস যেমন নিঃশব্দে থাবা বসাচ্ছে বাড়িতে বাড়িতে ক্যানসারও সেই ভাবেই এগোচ্ছে। খোঁজ করলে হয়ত প্রতি বাড়িতেই এখন ক্যানসার আক্রান্তের খোঁজ পাবেন। বিশ্বজুড়ে ৪ ফেব্রুয়ারি পালন করা হয় বিশ্ব ক্যানসার দিবস। এবছর এই দিবসের মূল ভাবনা হল- ক্যানসার প্রতিরোধে সচেতনতাই মূল মন্ত্র। ক্যানসার মানেই সব কিছু শেষ নয়। ক্যানসারকে হেলায় হরিয়ে প্রচুর মানুষ এখন সুস্থ হয়ে উঠছেন। নিয়মিত ভাবে কিছু নিয়ম মেনে চলতেই হবে। কোথাও কোনও সমস্যা হলে প্রথমেই চিকিৎসকের কছে যাওয়া, সেই মত চিকিৎসা করানো, পর্যবেক্ষণে থাকা এবং জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনা। আজকাল ক্যানসারের কারণ হিসেবে উঠে আসছে আমাদের রোজকারের জীবনযাত্রা। উদ্যম জীবনযাত্রাই ডেকে আনছে বিপর্যয়।

আর তাই সকলকেই কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। যাঁরা ক্যানসার আক্রান্ত হয়েছেন, যাদের চিকিৎসা চলছে তাঁরা যেমন মেনে চলবেন ঠিক তেমনই যাঁরা সুস্থ তাঁদেরও মেনে চলতে হবে। সঠিক ডায়েট প্ল্যান শরীরে যেমন শক্তি যোগাবে তেমনই চিকিৎসার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া যেমন বমি বমি ভাব, ক্লান্তি, কোষ্ঠকাঠিন্য, দুর্বলতা সেগুলোও কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করবে। তবে চিকিৎসকরা বলছেন যে খাবারে আপনি অভ্যস্ত সেই খাবারই খান। খুব ঝক্কি নিয়ে খাবার বানিয়ে খেতে হবে এমনটা নয়। সহজেই যা কিছু বানানো যায় সেই দিকে নজর রাখুন। রোজকার খাবার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এমন নয় যে আপনি আমিষ খাবারে অভ্যস্ত আর রোগের খপ্পরে পড়েছেন বলে আপনাকে নিরামিষ খাওয়া চালিয়ে যেতে হবে এমনটা কিন্তু একেবারেই নয়। তবে যাঁরা নিরামিষ খান তাঁদের অনেক বেশি করে প্রোটিন খেতে হবে। রোজ দুধ, ডাল, পনির এসব রাখতেই হবে তালিকায়।

ক্যানসারের চিকিৎসকার সময় কোন কোন খাবার এড়িয়ে চলবেন

ময়দার খাবার এড়িয়ে চলুন। পরোটা, লুচি, কচুরি এসব যত কম খাবেন ততই কিন্তু ভাল। মুচমুচে ভাজা, ডিপ ফ্রাই খাবার একেবারেই খাওয়া ঠিক না। এতে খাবারের পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়। প্রয়োজনে তা বাড়িতে বানিয়ে খেতে পারেন।

কড়া করে মাছ ভাজার পরিবর্তে মাছের পাতলা ঝোল খান। এতে পুষ্টিগুণ অনেক বেশি। তাই বলে এসব পছন্দের খাবার যে একেবারেই খাবেন না তা নয়। সুষম আহার হোক। রোজ সবজি আর ফল খেতেই হবে। একই সঙ্গে চেষ্টা করবেন বাসি খাবার না খেতে। কেমোথেরাপি বা রেডিয়েশনের পর হালকা খাবার খান। খুব গরম কোনও কিছু খাবেন না। একটু ঠান্ডা করে তবেই তা খান। ব্রেকফাস্টে গোলা রুটি, ডিমের ওমলেট, সেদ্ধ, ঝাল সুজি, উপমা, মুড়ি, দুধ খৈ, চিঁড়ের পোলাও , দুধ-কলা-চিঁড়ে, ঘুগনি মুড়ি এসব খান। দুপুরে ভাত, ডাল, তরকারি, মাছ একবাটি স্যালাড, টকদই খান। স্মুদি, স্যুপ, লাউ এসবও রাখবেন খাবারের তালিকায়।